রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া
রোজার নিয়ত
نويت ان اصوم غدا من شهر رمضان المبارك فرضا لك ياالله فتقبل منى انك انت السميع العليم
উচ্চারন: নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আগামীকাল পবিত্র রমযান মাসে তোমার পক্ষ হতে ফরয করা রোজা রাখার নিয়ত করলাম, অতএব তুমি আমার পক্ষ হতে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
ইফতারের দোয়া
اللهم لك صمت و على رزقك افطرت.
উচ্চারন: আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমীন।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার
রোজা কি কি কারনে ভেঙ্গে যেতে পারে
- ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।
- স্ত্রী সহবাস করলে।
- কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙবে না)।
- ইচ্ছকৃত মুখভরে বমি করলে।
- নস্য গ্রহণ করা, নাকে বা কানে ওষুধ বা তেল প্রবেশ করালে।
- জবরদস্তি করে কেউ রোজা ভাঙালে।
- ইনজেকশান বা স্যালাইনের মাধ্যমে দেহে ওষুধ পৌঁছালে।
- কংকর, পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে।
- সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সূর্যাস্ত হয়নি।
- পুরা রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।
- দাঁত থেকে ছোলা পরিমান খাদ্যদ্রব্য গিলে ফেললে।
- ধূমপান করা, ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জ্বালিয়ে ধোঁয়া গ্রহণ করলে।
- মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে।
- রাত আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।
- মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবহে সাদিকের পর জাগরিত হলে।
কি কি কারনে রোজা মাকরুহ হতে পারে
- কোনো দ্রব্য মুখে দিয়ে রাখা।
- অনাবশ্যক কোনো জিনিস চিবানো বা চাখা।
- গড়গড়া করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেয়া। কিন্তু পানি যদি নাক দিয়ে গলায় পৌঁছে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।
- ইচ্ছাকৃত মুখে থুথু জমা করে গিলে খেলে।
- সাড়া দিন নাপাক অবস্থায় থাকা।
- গীবত, গালা-গালি ও ঝগড়া-ফাসাদ করা। কেউ গায়ে পড়ে ঝগড়া-ফাসাদ করতে এলে বলবে, আমি রোজাদার তোমাকে প্রত্যুত্তর দিতে অক্ষম।
- কয়লা চিবিয়ে অথবা পাউডার, পেস্ট ও মাজন ইত্যাদি দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা।
- অস্থিরতা ও কাতরতা প্রকাশ করা।