টাকা চেনার উপায়

মোবাইল ব্যাংকিং আসাতে নোটের টাকার লেনদেন কিছুটা কমলেও রুট পর্যায়ে নোটের টাকার ব্যবহার অনেক । নতুনরা এমনকি অভিজ্ঞ ব্যক্তিও একটু অসর্তকতার জন্য  জাল টাকার খপ্পরে পড়েন।  তাই আমাদের প্রত্যেকের জাল টাকার ব্যাপারে সতর্ক হতে হয়।  আর তাই জানা থাকতে হবে আসল বা জাল টাকা চেনার উপায়


আমাদের কৌতুহল আমরা সচরাচর প্রকাশ করতে পারি না। তাই আজ আমাদের এই কৌতুহল নিবৃত্তি করতে আমরা কীভাবে টাকা চেনা যায় তা নিয়ে আলোচনা করব। চলেন দেখে নেয়া যাক টাকা চেনার উপায়

টাকা কি?

টাকা হচ্ছে বিনিময় মাধ্যম। মূলত বিনিময়ের মাধ্যম, আয়-ব্যয়ের একক, মজুত দ্রব্যর মূল্য এবং বিভিন্ন সেবার পরিশোধের মান হিসেবে  যা কাজ করে তাই টাকা। আবার টাকা হচ্ছে সবচেয়ে বড় জামানত। তবে টাকা একটি নাম, যা বাংলাদেশের মুদ্রাকে বলা হয়। বিভিন্ন দেশের মুদ্রার নাম বিভিন্ন হয়।

Bangladeshi taka

Bangladeshi Taka

সরকারি নোট ও ব্যাংক নোট

১ ও ২ টাকার নোট ও কয়েন কে বলা হয় সরকারি টাকা।

এছাড়া বাকি সবগুলোই ব্যাংক নোট বা বিল অব এক্সচেঞ্জ

কীভাবে চেনা যাবে – টাকা চেনার উপায় কি

টাকার মাঝে বেশ কিছু ছাপ ও সুক্ষ চিহ্ন থাকে, যেগুলো দেখে এবং পর্যবেক্ষন করে আসন ও নকল টাকা চেনা যায় ।

1000 Taka note

1000 Taka note

টাকার জলছাপ দেখে চেনার উপায়:

নোটের সম্মুখভাগে যে দিকে সাদা অংশ থাকে তাতে আলোর বীপরিতে ধরলে বাঘ বা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি দেখা যাবে। সাথে সংখ্যায় টাকার মূল্যমান ও বাংলাদেশ ব্যাংক এর লোগো দেখতে পাবেন ।

তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন জাল নোটে এটি দেখা গেলেও প্রতিকৃতি ঝাপসা বা ছবিটি সঠিক হবে না

আলোর দিকে ধরুন, বাঘ বা বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখা যাবে

আলোর দিকে ধরুন, বাঘ বা বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখা যাবে

বাংলাদেশের টাকায় উপরের বৃত্তের দেখানো অংশ টি থাকবে এবং এটি আলোর দিকে ধরলে জলছাপ  দেখা যাবে ।

জলছাপ দেখে টাকা চেনার উপায়

জলছাপ দেখে টাকা চেনার উপায়

টাকার পেছনে আলো ফেলায় জলছাপ ফুটে উঠেছে ।

নিরপাত্তা সুতা:

প্রত্যেক প্রকার নোটেই মূল্যমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সম্বলিত নিরাপত্তা সুতা বিদ্যমান থাকে।

নোটের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত এই সিকিউরিটি সুতাকে Holographic Window Type Security Thread বলা হয়। এর চারটি স্থানে মূল্যমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো মুদ্রিত থাকে।

নোট নড়াচড়া করলে তা দেখো যাবে।

টাকার সুতা

টাকার সুতা

এই অংশটি আলোর বিপরিতে ধরলেও দেখা যায় ।

রঙ পরিবর্তনশীল কালি (OVI):

১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক প্রকার নোটের কোনায় লেখা সংখ্যা বা নোটের মূল্যমান OVI দ্বারা প্রিন্টেড থাকে।

Optical Variable Ink এর কারণে টাকা ধীরে ধীরে নড়াচড়া করলে নোটের মূল্যমান লেখাটি সোনালী হতে ক্রমেই সবুজ রঙ এ পরিবর্তিত হবে।

জালনোটে এরকম পরিবর্তন হবে না।

এই অংশের কালার পরিবর্তন হয়

টাকার এই অংশের কালার পরিবর্তন হয়

পাশাপাশি এই অংশ টি খসখসে হয় । যদি সন্দেহ হয়, নোখ দিয়ে হালকা ডলা দিতে পারেন , নকল হলে রংটি উঠে যাবে ।

Dot For Blinds:

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সুবিধার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।

নোটে Dot Intaglio Print থাকে, যা খালি হাতে স্পর্শ করলে বোঝা যায়।

অসমতল ছাপা:

প্রত্যেক প্রকার নোটের বিভিন্ন অংশে অসমতল ছাপা আছে যা খালি হাতে বোঝা যায়।

সেই সাথে নোটের নীচের কোনায় ৫০০ লেখাটিতে বাংলাদেশ ব্যাংক শব্দটি ইনট্যাগ্লিও প্রিন্ট দ্বারা লিখা যা কেবল আতস কাচ দিয়ে দেখা যায়।

Hidden Bangladesh Bank Te্xt

Hidden Bangladesh Bank Te্xt

প্রিন্ট করার সময়কাল: নোটের পিছনে খুব ছোট করে মুদ্রণ সময়কাল মুদ্রিত হয়েছে।

Latent Image:

১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা নোটে Latent Image থাকে। যা নির্দিষ্ট কোনা করে ধরে তাকালে তবেই দেখা যায়।

আজকাল জালনোট সনাক্তকারী মেশিন দেখা যায়। এসকল মেশিনেও জাল নোট ধরা যায়। এ সকল জাল নোট সনাক্ত করার মেশিন কে UV Machine বলা হয়।

You may also like...

2 Responses

  1. তমাল says:

    টাকা চেনা খুব সহজ না । আবার খুব কঠিন ও না । মোবাইল দিয়েও চেনা যায় ।

  2. himel says:

    ৫০০ টাকা চেনার উপাই ও কি একি রকম? ভিন্ন হলে জানাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!