হাতের লেখা সুন্দর করার উপায়
সুন্দর হাতের লেখার কদর সর্বোচ্চ সমান। সেই সাথে সুন্দর করে লেখার পাশাপাশি লেখার ধরন এবং দ্রুত লেখা হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। হাতের লেখা সুন্দর হওয়াটা বেশ জরুরী। আর আমাদের আকজের আয়োজন হাতের লেখা সুন্দর করার উপায় । আজকে আপনার সাথে কিছু টিপস শেয়ার করবো যা থেকে আপনি খুব সহজে জেনে যাবেন হাতের লেখা সুন্দর করার উপায় । আপনি চাইলে দেখে নিতে পারেন কিভাবে নিজেকে গুছিয়ে উপস্হাপন করা যায় ।
আমার হাতের লেখা খারাপ হওয়ার কারণেই আমি মনে হয় পরীক্ষার খাতায় কম নাম্বার পাই। শিক্ষক মনে হয় আমার লেখা একটু কমই বুঝতে পারে কিংবা বুঝতে পারে না। হাতের লেখা বুঝতে না পারার জন্য শুধু নাম্বার কম ই না তার সাথে সাথে খাতা শিক্ষকের চোখে পড়লে একটা নেগেটিভ চিন্তা চলে আসে। আর যদি হাতের লেখা ভালো হয়, তাহলে পজেটিভ একটা ইমপ্রেশন পড়ে।
তো চলুন নিচের অংশে দেখা নেওয়া যাক, কিভাবে হাতের লেখা সুন্দর করা যায়।
হাতের লেখা সুন্দর করার উপায় বা ধাপ গুলো
বর্ণমালা অনুশীলন
আপনি প্রতিটি বর্ণ কিভাবে লিখবেন তা আপনাকে প্রথমেই ঠিক করে নিতে হবে। ছোট বেলার কথা আপনার হয়তো মনে আছে, সেই সময় হাতের লেখা শিখার জন্য বর্ণমালার উপর দিয়ে লেখা হতো। এই পদ্ধতিটা বেশ কার্যকর একটি পদ্ধতি। আপনার লেখার সময় কোন বর্ণগুলো খারাপ দেখা যাচ্ছে, সেই বর্ণগুলো ঠিক ঠাক ভাবে লিখার চেষ্ঠা করুন। দেখবেন আপনার হাতের লেখায় কয়েক দিনের মধ্যে পরিবর্তন চলে আসবে।
নিয়মিত হাতের লেখা অনুশীলন করা
হাতের লেখা সুন্দর করার জন্য প্রতিনিয়ত লেখা অনুশীলন করুন। সুন্দর ভাবে লেখা ফুটিয়ে তোলার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেছে নিন এবং প্রতিদিন লেখা অনুশীলন করুন। এই ভাবে লেখা অনুশীলন করার মাধ্যমে আপনার হাতের লেখা সুন্দর দেখাবে। প্রয়োজনে যাদের লেখা সুন্দর, তাদের কাছ থেকে বিভিন্য বর্ন গুলো আলাদা আলাদা ভাবে লিখে নিয়ে যেগুলোর উপর বার বার লিখতে থাকুন । এই ভাবে চেষ্টা করুন, দেখবেন যে আপনার লেখা ধীরে ধীরে সুন্দর হচ্ছে। বলা যেতে পারে হাতের লেখা সুন্দর করার উপায় গুলোর মধ্যে এটি বেশ কাজের ।
মনোযোগী হওয়া
আপনি কি লিখছেন তার দিকে মনোযোগ দিন। লেখার সময় কোন বর্ণ বা বাক্য লিখছেন তার দিকে মনোযোগী হন। আপনি কোন বর্ণ লিখছেন ঠিক সেই সময় মনে রাখতে হবে আপনি কোন ধরনের বর্ন লিখছেন। এতে করে আপনার হাতে লেখা সুন্দর দেখাবে।
হাতের লেখার সময় নির্ধারণ
আপনি একদিনেই লেখা লেখি করে হাতের লেখা সুন্দর করবেন, তা হবে না। তবে এইটা অতটাও কঠিন কিছু নয়। এর জন্য নির্দিষ্ট একটি সময় বেঁধে নিন। প্রতিদিন কমপক্ষে এক ঘন্টা বা তারও বেশি লেখা সুন্দর করার জন্য সয়ম দিন।
স্পষ্ট লেখা অনুশীলন করা
অনেকেই দ্রত লিখতে গিয়ে বর্ণকে বিকৃত রুপে উপস্থাপন করে থাকি। তাই লেখার সময় কোন বর্ণ স্পষ্ট হচ্ছে না তার উপর নজর দিন। লেখার সময় অবশ্যয় পাঠকের বিষয়টি মাথায় রেখে লেখার চেষ্টা করুন। আপনি কি লিখলেন পাঠক যদি নাই বুঝতে পারে, তাহলে আপনার লেখাই বৃথা। স্পষ্ট বর্ণে লেখার চেষ্টা করুন।
বর্ণ সোজা করে লেখা অনুশীলন করা
সুন্দর লেখার মূল মন্ত্র হচ্ছে লেখাকে সোজা করে লেখা। একটি বর্ণ তখনি পরিপূর্ণ দেখায় যখন বর্ণ সোজা এবং গোছানো থাকে। তাই লেখাকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য যতটা সম্ভব চেষ্টা করুন সোজা এবং সাজানো ভাবে লেখার।
ভুল সংশোধণ
লেখার সময় লেখা ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক (তবে বার বার একই ভুল 😀 )। আর এই ভুলের মাত্রা কমানোর চেষ্টা করুন। লেখা কাটাকাটি আমাদের পুরাতন একটি অভ্যাস । ভুল হওয়া লেখাটি একটানে কেটে দিন এবং পূনরায় লেখাটি অন্য এক জায়গায় লেখুন। এতে করে লেখা গুলো সুন্দর এবং স্পষ্ট হয়।