হেডফোন ব্যবহারে সতর্কতাঃ
সবসময়ের জন্য কানে হেডফোন গুঁজে রাখলে তা কানের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দীর্ঘসময় কানে হেডফোন রাখার কারণে কানের শ্রবণশক্তি অল্প সময়ের মধ্যে দুর্বল হয়ে যায়। তাই হেডফোন ব্যবহারে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।
- এক নাগাড়ে ৩০ মিনিটের অধিক সময় কানে হেডফোন কিংবা ইয়ারফোন লাগিয়ে রাখা ঠিক নয়। মোবাইলে যদি কোন আলোচনা শুনতে হয় তাহলে ৩০ মিনিট আলোচনা শোনার পর কান থেকে হেডফোন কিংবা ইয়ারফোন খুলে ফেলাই উত্তম। এতে কানের ভিতরের শ্রবণ ইন্দ্রিয় কিছুটা সময় বিশ্রামে থাকবে।
- কোন সময়ের জন্য উচ্চ শব্দে ভলিউম দিয়ে কোন আলোচনা শ্রবণ করা উচিত নয়। এতে করে কানের পর্দায় বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ইয়ারফোনের শব্দ সরাসরি কানের ভিতর প্রবেশ করে। এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যাবশ্যক। প্রতিটি কোম্পানীর হেডফোনে শ্রবণের মাত্রা নির্দেশনায় উল্লেখ করা থাকে। সে নির্দেশনা মেনে চলা দরকার।
- ইয়ারফোন নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে কোম্পানীর মোবাইল ব্যবহার করি একমাত্র ঐ কোম্পানীরই ইয়ারফোন ব্যবহার করাই ভালো। এর কারণ হল, প্রতিটি কোম্পানী মোবাইল তৈরির পাশাপাশি ঐ নির্দিষ্ট মডেলের ইয়ারফোন তৈরি করে থাকেন। ফোন হতে বেরিয়ে আসা শব্দ তরঙ্গের কম্পাঙ্ক, রশ্মির তরঙ্গ প্রভৃতির উপর হিসাব মিলিয়েই ইয়ারফোনের ক্ষমতা ও তরঙ্গ নির্ধারণ করা হয়। এজন্য ইয়ারফোন নষ্ট হলে গেলে যে মোবাইল ব্যবহার করছেন ঐ নির্দিষ্ট মোবাইলের ইয়ারফোন কিনে তবেই ব্যবহার করা উত্তম।
- যাত্রার সময় কখনই কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে কোন কিছু শোনা উচিত নয়। গাড়ি চালানোর সময়ও কখনই কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে গাড়ি চালানো উত্তম নয়। এর কারণ হল, গাড়ি চালানোর জন্য কানে হেডফোন লাগিয়ে রাখলে অন্য গাড়ির হর্ণ শোনা যাবে না বিধায় মারাত্মক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে।