ব্লগ আর্টিকেল রেংক না করার কারণ কি? কেন আপনার আর্টিকেল রেংক হচ্ছে না
আপনার কি একটি ওয়েবসাইট আছে? এবং প্রতিনিয়ত লেখালেখি করেন ওয়েবসাইটের মধ্যে? আর আপনি এত কষ্ট করার পরেও আপনার আর্টিকেলগুলো রেংক হচ্ছে না? তাহলে আমাদের আজকের এই পোষ্ট টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে এমন 6 টি বিষয় শেয়ার করব কিন্তু এগুলোর কারণে আপনার আর্টিকেলটি মূলত রেংক হচ্ছে না।
তাই আপনি যদি আপনার আর্টিকেল রেংকিং কিংবা ইনডেক্সিং নিয়ে সমস্যায় থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। কেননা মূলত অনেকগুলো কারণ রয়েছে কোন একটা আর্টিকেল গুগোল না হওয়ার। যেগুলো সম্পর্কে হয়তো আপনার ধারণা নেই তাই ধারণা অর্জন করার জন্য আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
যেমনঃ হতে পারে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ভালোভাবে করতেছেন না। তাছাড়া আরও বিভিন্ন প্রকার কারণ থাকতে পারে যেগুলোর কারণে মূলত আপনার আর্টিকেল গুগল প্রথম পেজে থাকছে না। এবং এই কারণগুলোর মধ্যে বেসিক যে কারণ গুলো রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব আজকের এই আর্টিকেলে।
আপনার আর্টিকেল রেংক কিংবা ইনডেক্স হচ্ছে না?
বর্তমান আধুনিক যুগের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই চাই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে। যার কারণে এখন প্রচুর মানুষ ব্লগিং এর দিকে ঝুঁকছে। তারমধ্যে সবচেয়ে যে কারণটি রয়েছে সেটি হচ্ছে ব্লগিং করে ইনকাম করা যায় অনলাইনের মাধ্যমে। কিন্তু অনেকে আছেন যারা কিনা ব্লগিংকে প্রফেশনাল বিজনেস কিংবা ক্যারিয়ার হিসেবেও গড়ে তুলেছেন।
থাই যার কারণে প্রচুর পরিমাণে প্রতিযোগী কিংবা কম্পিটিশন সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমনঃ আমরা যখন কোন একটা দৌড়াদৌড়ি প্রতিযোগিতাতে যায় তখন সেখানে যদি কম্পিটিশন কিংবা প্রতিযোগী বেশি থাকে, তাহলে আমাদেরকে আগে পৌঁছাতে অনেক কষ্ট করতে হয় অনেক বেশী দৌড়াতে হয় এবং অনেক তাড়াতাড়ি দৌড়াতে হয়।
ঠিক তেমনি কোন একটা বিষয় সম্পর্কে যখন গুগোল এর মধ্যে কম্পিটিশন বেশি থাকে অর্থাৎ মনে করেন একটা কিওয়ার্ড যেমনঃ “অনলাইন থেকে ইনকাম করার নিয়ম” এই কিওয়ার্ড নিয়ে যখন আপনি গুগলের মধ্যে সার্চ করবেন তখন অনেক ওয়েবসাইট কিংবা আর্টিকেল আপনার সামনে শো করবে। অর্থাৎ এই কিওয়ার্ডটির অনেক কম্পিটিটর কিংবা প্রতিযোগী রয়েছে। যার কারণে আপনি যদি এই কী-ওয়ার্ডটি নিয়ে লেখালেখি করেন তাহলে আপনার রেংকিং করা অনেক কষ্টকর হবে।
তাছাড়া আমরা সকলেই জানি কোন একটা ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে হলে সর্বপ্রথম গুগল এডসেন্স পেতে হবে। এবং সেই ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর জেনারেট করতে হবে। অবশ্যই আপনি যে বিষয়গুলো আপনার ওয়েবসাইটে আনবেন সেগুলো unique হতে হবে। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটটি এসইউ করে বা গুগল সার্চের মাধ্যমে আনতে হবে।
তাই আমরা সকলেই চাই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিংবা এসইউ এর মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন হাজার হাজার ভিজিটর আনতে। তার জন্য আমাদেরকে যেমন চেষ্টা এবং কষ্ট করতে হয় তেমনি এসইওর উপর দক্ষতা অর্জন করতে হয়। তবে আমাদেরকে অবশ্যই গুগল সার্চ ইঞ্জিনের যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হয়।
তাছাড়া আপনার ওয়েবসাইটে যদি কোন প্রকার আপত্তিকর আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকেন। তাহলে আপনার ওয়েবসাইট কিংবা আর্টিকেল যেমন রেংক করবে না তেমনি আপনার আর্টিকেল ইনডেক্সিং হতে সময় লাগবে। যদিও আপনার আপত্তিকর আর্টিকেল রেংক হয়েও থাকে তাহলে আস্তে আস্তে তার রেংক হারিয়ে যাবে।
তাহলে এখন আমরা জেনে নিব আসলে মূলত কি কি কারণে আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেলগুলো রেংক করে না।
১/ নতুন ওয়েবসাইট ( new website)
যদি আপনার ওয়েবসাইটটি এখন নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইট গুগলের বুট ক্রল করতে অনেক সময় লাগবে। তাই প্রথমদিকে কোন একটা নতুন ওয়েবসাইট এর আর্টিকেল কিংবা ওয়েবসাইটের লিংক ইন্ডেক্স হতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয় হতে পারে এক মাস এর মত প্রয়োজন হবে।
তাই আপনার ওয়েবসাইটে যদি নতুন হয় তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। কেননা মূলত একটি নতুন ওয়েবসাইট রেংকিং এ আসতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয় এবং ইনডেক্স হতেও সময় লাগে। কেননা প্রথমদিকে কোন একটা ডোমেইন এর অথরিটি যেমন ভালো থাকে না তেমন কোন ভাল ব্যাকলিংক তৈরী করা হয়নি। তাই আপনার ওয়েবসাইটটি যদি নতুন হয়ে থাকে এবং রেঙ্ক না হয়ে থাকে তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই কাজ করে যান আস্তে আস্তে হয়ে যাবে।
যেমন আপনি যদি গুগলের মধ্যে গিয়ে site:www.bloggerbangladesh.com লিখে সার্চ করেন তাহলে এই ওয়েবসাইটের মধ্যে যতগুলো ফেজ গুগলের মধ্যে ইন্ডেক্স রয়েছে সেগুলো দেখতে পাবেন। এবং আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের ইন্ডেক্স পেজ দেখতে চান তাহলে গুগলের সার্চ করবে site:example.com অর্থাৎ example এর জায়গায় আপনার ওয়েবসাইটের এড্রেস টা দিবেন।
তাই আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের ইনডেক্স হওয়া পেজগুলো দেখতে চান তাহলে উপরের দেওয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। আর যদি সেখানে সার্চ রেজাল্ট এর মধ্যে আপনার ওয়েবসাইটের সমস্ত পেজ শো করে তাহলে বুঝবেন আপনার ওয়েবসাইটের সমস্ত আর্টিকেল ইন্ডেক্স করা রয়েছে। আর যদি দেখতে না পান তাহলে বুঝবেন আপনার ওয়েবসাইটের পেজ গুলো এখনো ইন্ডেক্স হয়নি।
যদি দেখতে পান আপনার ফেজ ইন্ডেক্স হয়েছে এবং আপনার ওয়েবসাইট যদি নতুন হয়ে থাকে তাহলে আপনি আরেক পাওয়াটা অনেক কঠিন ব্যাপার। এতো সহজেই আপনি রেংকিং পেতে পারেন না কেননা অনেক পুরাতন এবং ভালো মানের ওয়েবসাইট আপনার আগেই তৈরি করা হয়েছে।
প্রথম প্রথম কোন একটা ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথরিটি অনেক কম থাকে। অর্থাৎ বলতে গেলে একেবারে শূন্য থাকে। তার জন্য প্রথম প্রথম কোন একটা ওয়েবসাইট এবং করানোর জন্য অনেক কিছু ফলো করতে হয়। এবং সহজেই কোন একটি নতুন ওয়েবসাইট রেংক করাতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়।
তাছাড়া কোন একটা নতুন ওয়েবসাইট কিংবা কম ডোমেইন অথরিটি সাইট এর উপর গুগলের তেমন কোন ভরসা থাকে না। অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন কেন আপনার ওয়েবসাইটটি রেংক হচ্ছে না। তারমধ্যে প্রধান কারণ একটি হচ্ছে ওয়েবসাইট নতুন হওয়া।
তাই প্রথম প্রথম আপনি যত হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট লিখেন না কেন আপনার ওয়েবসাইট খুব সহজেই করতে পারবেন না। তাছাড়া আপনি যত বেশি শব্দের লিখেন নাই কেন আপনি তেমন সহজে গুগলের প্রথম পাতায় আসতে পারবেন না।
হ্যাঁ অবশ্যই একটা কথা মনে রাখবেন আপনি যখন প্রতিনিয়ত আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করতে থাকবেন তখন আস্তে আস্তে দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথরিটি বেড়ে যাচ্ছে। তাই অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত আর্টিকেল পাবলিশ করার চেষ্টা করুন।
যার ফলে আপনি যখন প্রতিদিন হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন তখন আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেলগুলো রেংক করাতে কোন প্রকার বাধার সম্মুখীন হবেন না। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্য হাই কোয়ালিটি এবং প্রতিনিয়ত আর্টিকেল পাবলিশ করতে হয়।
তবে বিশেষ করে এই পরামর্শ যারা এখনো নতুন ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ শুরু করেছেন তাদের জন্য। তবে যারা পুরাতন হয়ে গেছে তারাও এই নিয়মটি মেনে চলতে ভুলবেন না। কেননা আপনার ওয়েবসাইটে যতবার ও আর্টিকেল পাবলিশ করবেন তত আপনার রেংকিং হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের মান বৃদ্ধি পাবে।
২/ হাই কম্পিটিটিভ কিওয়ার্ড (high competitive keyword)
আমি আপনাদেরকে আর্টিকেলের শুরু থেকেই বলছি এখন ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে প্রতিযোগী কিংবা কম্পিটিটর রয়েছে। যার কারণে এখন প্রতিদিন এক একটি বিষয়ের উপর হাজার হাজার কনটেন্ট পাবলিশ করা হচ্ছে এবং সেগুলো ইন্ডেক্স করছে গুগোল এর মধ্যে।
তাই এখন যদি আপনিও এমন একটি আর্টিকেল নিয়ে লেখালেখি করতেছেন বা এমন একটি কিওয়ার্ড নিয়ে লিখতেছেন। যে কিবোর্ডটি সম্পর্কে মূলত আগে থেকেই অনেক হাই কোয়ালিটি এবং হাইওয় অথরিটি ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে রেখেছে। তাই আপনাকে সেই কিওয়ার্ড গুগলের অ্যাড করাতে অনেক প্রতিযোগীর সাথে মোকাবিলা করতে হবে। যেটা কিনা অনেক কঠিন একটা ব্যাপার হয়তোবা আপনার আর্টিকেলগুলো সেই কারণেই রেংকিং হচ্ছে না।
তাই সে জন্য আপনার ওয়েবসাইটে যদি খুব সহজেই আরেক করাতে চান তাহলে অবশ্যই লু কম্পিটিটর কীওয়ার্ডস নিয়ে লেখালেখি করার চেষ্টা করবেন। হাই কম্পিটিটিভ কিওয়ার্ড নিয়েও যদি আপনি লেখালেখি করেন যদিও বা আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথরিটি ইত্যাদি ভালো থাকে। তবুও আপনার ওয়েবসাইট রেংক করাতে অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
তাই অবশ্যই কোন একটা কিওয়ার্ড নিয়ে লেখালেখি করার আগে অবশ্যই সেই কিওয়ার্ড এর কম্পিটিটর কেমন সেগুলো এনালাইজ করবেন। এবং রেংকিং করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কিওয়ার্ড চয়েজ করার ক্ষেত্রে লং টেইল কীওয়ার্ড ব্যবহার করা। লং টেইল কীওয়ার্ড অতি সহজে রং করা যায় যদি আপনার আর্টিকেল এর মান ভালো থাকে এবং ওয়েবসাইটের মন ভাল থাকে।
৩/ হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট publish না করার কারণে
যদি আপনার ওয়েবসাইটে আপনি প্রতিনিয়ত পোস্ট করতেছেন ঠিক আছে কিন্তু আপনি যদি হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট পাবলিক না করেন তাহলে আপনার আর্টিকেল রেংক করা তো দূরের কথা আপনার আর্টিকেলটি ইন্ডেক্স হতেও অনেক সময় লাগবে।
আবার অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট আসলে কি। তাই তাদেরকে উদ্দেশ্য করে এখানে আমি হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট কি এটাও বর্ণনা করে দিব।
হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট? এই প্রশ্নের উত্তর অনেকটাই সহজ। উত্তরঃ হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট হচ্ছে এমন এক কনটেন্ট যেগুলোর মাধ্যমে ভিজিটররা খুব সহজেই তাদের প্রশ্নের অ্যানসার পেয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনি এমন একটি আর্টিকেল লিখবেন যেটাতে যে ভিজিট করবে সে তার সম্পূর্ণ প্রশ্নের উত্তর এবং তার চাওয়ার সবগুলোই পেয়ে যায়। অর্থাৎ আপনি একটি কিওয়ার্ড নিয়ে লেখালেখি করতেছেন যেমনঃ “সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত” তো আপনি সাজেক ভ্যালি সম্পর্কে যতগুলো প্রশ্ন রয়েছে সবগুলোই আপনার আর্টিকেল এর মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন। যেমনঃ “সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত” একই ওয়ার্ডের আরো কয়েকটা LSI keyword থাকতে পারে যেমনঃ সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ, সাজেক ভ্যালি হোটেল, সাজেক ভ্যালি খাওয়ার ব্যবস্থা ইত্যাদি।
এখনকার সময়ে অনেক ব্লগার দেখে দেখে যায় তারা প্রতিনিয়ত আর্টিকেল পাবলিশ করে ঠিক আছে কিন্তু হাই কোয়ালিটি এবং বেশি শব্দের আর্টিকেল পাবলিশ করে না। যেমন অনেকে 300 কিংবা 500 শব্দের আর্টিকেল পাবলিশ করে দেন এবং প্রচুর ভিজিটর আশা করে থাকেন। এটা একটা বোকার মত কথা কেননা আপনি হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট লিখবেন না এবং প্রচুর ভিজিটর আশা করবেন এটা কেমন কথা।
এক ওয়েবসাইটের তথ্য মতে দেখা গেছে যে প্রত্যেকটি আর্টিকেল রেংক করানোর জন্য একটা উপায় হচ্ছে আর্টিকেলগুলো কমপক্ষে 1200 শব্দের লেখা। অর্থাৎ কমসে কম আপনি যে আর্টিকেলটি পাবলিশ করবেন সেটা যেন 1200 শব্দের হয় এবং বেশির কোনো সীমা নেই।
তাই অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন অর্থাৎ ভিজিটরের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এবং অবশ্যই বেশি শব্দের আর্টিকেল পাবলিশ করার চেষ্টা করবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
৪/ গুগোল আপনার ওয়েবসাইট সঠিকভাবে ক্রল করছে তো?
গুগলের অনেক প্রকার ক্রোল ইস্যুর কারণে আমাদের অনেক ওয়েবসাইট গুগল ক্রোল করতে পারে না। আর যখন আমাদের ওয়েবসাইটের সমস্ত আর্টিকেল গুগল ক্রোল আমাদের ওয়েবসাইট এর আর্টিকেলগুলো যেমন ইন্ডেক্স হবে না তেমনই রেংক হবে না।
তার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম আপনার ওয়েবসাইটের সাথে সংযুক্ত গুগল সার্চ কনসোলে প্রবেশ করুন এবং index>>coverage এ ক্লিক করুন। সেখানে দেখতে পাবেন আপনার ওয়েবসাইটে কোন প্রকার এরর আছে কিনা। অর্থাৎ কোনো কারণে যদি আপনার ওয়েবসাইটটির কোন আর্টিকেল গুগল ক্রোল করতে না পারে তাহলে সেখানে আপনি লাল রঙের error দেখতে পাবেন।
গান ছাড়া আরেকটি মজার বিষয় হচ্ছে সেখানে আপনি কোন কারণে আপনার ওয়েবসাইট গুগল ক্রোল করতে পারতেছে না সেগুলো সেখানে উল্লেখ করা থাকবে।
৫/ লো কোয়ালিটি ব্যাকলিংক এর কারণে
যখন গুগোল কোন একটা ফেক কল করে কিংবা ইনভেস্ট করে এবং রেংকিং এর জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। তখন যেসব বিষয় গুলোর দিকে গুগলের সবচেয়ে বেশি লক্ষ করে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্যাকলিংক। অর্থাৎ গুগোল কোন একটা পেজ রেংক করানোর সময় সে পেজের ব্যাকলিংক কয়টি আছে এবং ব্যাক লিঙ্ক গুলো কেমন সেটা যাচাই-বাছাই করে।
এবং আপনার ওয়েবসাইটে কি লো কোয়ালিটি ব্যাকলিংক রয়েছেন নাকি হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক হয়েছে এটাও তারা বিবেচনা করে। এসব বিষয় গুলোর দিকে লক্ষ্য করে মূলত আপনার একটি ওয়েবসাইটকে কিংবা আর্টিকেলকে রেংক করাই। তাই অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে ব্যাকলিংক তৈরি করার সময় হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরি করবেন।
আমরা অনেক সময় ব্যাকলিংক তৈরি করার ক্ষেত্রে লো কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরী করে ফেলি যেমনঃ স্পাম ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক তৈরী করি, লো কোয়ালিটি ডাইরেক্টরি থেকে ব্যাকলিংক তৈরী করি এবং আবার অনেক সময় অনেকেই লো কোয়ালিটি ব্যাকলিংক ক্রয় করে।
তাই আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে লো কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরি করেন সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট কিংবা আর্টিকেল রেংক করানোর ক্ষেত্রে বা করানোর জন্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারি।
তাছাড়া আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য লো কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরী করেন সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট গুগোল ফিনালাইজ এর মধ্যে ফেলতে পারে। যার কারনে আপনার ওয়েব সাইটে যতগুলো পোস্ট ব্যাংকে চলে গিয়েছে সেগুলো নিচে নেমে যেতে পারে। যার কারনে আপনার ওয়েবসাইট আছে আছে নিচের দিকে হ্রাস করতে পারে।
একটা বিষয় দিকে লক্ষ্য করবেন সেটা হচ্ছে আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের জন্যে লো কোয়ালিটি ব্যাকলিংক 100 টা তৈরি করেন তাহলে তার চেয়ে ভালো বরং আপনি 10 টি হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরি করা। বরং এই 10 টা ব্যাকলিংক আপনার 100 টা ব্যাকলিংক এর চেয়ে অনেক উপকার হবে। তাই এখন আমি আপনাদের সাথে কিছু হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায় শেয়ার করব।
হাই অথরিটি ব্যাকলিংক তৈরি করার টিপস
- নিজের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত ভালো ভালো হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট পাবলিশ করুন। যার কারণে অন্যান্য ওয়েবসাইটের এডমিনরা নিজের ইচ্ছাতেই আপনার ওয়েব সাইটের ব্যাকলিংক দিবে।
- হাই অথরিটি ওয়েবসাইটগুলোতে গেস্ট পোস্ট করার চেষ্টা করুন।
- নিজের ওয়েবসাইটে নিশের সাথে জড়িত অন্যান্য ওয়েব সাইটে ডোফলো কমেন্টস ব্যাক লিঙ্ক করার চেষ্টা করুন।
- হাই কোয়ালিটি ব্লগ ডাইরেক্টরি গুলোতে নিজের ব্লগে যুক্ত করার চেষ্টা করুন।
- বিভিন্ন সোশ্যাল বুকমার্কিং সাইট গুলোতে নিজের পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করুন।
৬/ ওয়েবসাইট ফিনালাইজড বাই গুগোল (website penalised by Google)
অনেক সময় দেখা যায় আমাদের ওয়েবসাইটগুলো রেংকিং হারিয়ে ফেলে। অর্থাৎ আমরা যখন কোন একটা আর্টিকেল কোয়ালিটি কোয়ালিটিফুল কনটেন্ট হিসেবে লিখি। তখন আমাদের আর্টিকেলটা রেংকে চলে যায় এবং কিছুদিন পরে দেখা যায় সেই রেংকটা আস্তে আস্তে হারিয়ে ফেলে। মূলত এর একটা কারণও রয়েছে সেটা হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট গুগোল দ্বারা প্যারালাইজড হয়ে গেছে।
অর্থাৎ আপনার কিছু ভুলের কারণে গুগোল আপনার ওয়েবসাইটকে ফিনালাইজ এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছে। যার কারণে আপনার রেংকে টাকা ওয়েবসাইটগুলো কিংবা আর্টিকেলগুলো আস্তে আস্তে ডাউন হয়ে যাচ্ছে।
আসলে মূলত গুগোল কোন একটা ওয়েবসাইটকে তখনই ফিনালাইজ করে যখন গুগলের কোয়ালিটি গাইডলাইনস গুলোর লংঘন সেই ওয়েবসাইটের মধ্যে পাওয়া যায়।
যার কারণে কোন একটা ওয়েবসাইট থেকে তার সমস্ত আর্টিকেল কিংবা কিছু সংখ্যক আর্টিকেল সার্চ রেজাল্ট থেকে সরিয়ে ফেলে। তাহলে এখন আমরা জানবো আসলে মূলত কোন কোন কারনে কোন একটা ওয়েবসাইট কে গুগল ফিনালাইজ করে।
- “ওভার কিওয়ার্ড অপটিমাইজেশন” অর্থাৎ আমরা যখন কোন একটা আর্টিকেল লিখি তখন সেখানে যদি কোন একটা নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড আমরা বেশি বার ব্যবহার করি তাহলে সেই আর্টিকেল কিংবা ওয়েবসাইটকে গুগোল ফেনালাইজ (penalise) করতে পারে।
- “ব্ল্যাকহেড এসইউ (black had seo)” অর্থাৎ অনেকেই তার গুগলের রেংকিং বাড়ানোর জন্য ওয়েবসাইটে অবৈধভাবে এসইও করে থাকে যেগুলো কিনা আসলে মূলত গুগোল সাপোর্ট করে না এবং আইন বিরোধী। তাই আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের ব্ল্যাকহেড রিসিভ করেন সেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট ফেনালাইজে যেতে পারে।
- ওয়েবসাইটে যদি thin কনটেন্ট পাবলিশ করেন এবং লো কোয়ালিটি কন্টেন্ট পাবলিশ করেন তখনও আপনার ওয়েবসাইট পেনাল্টি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- আপনার ওয়েবসাইট যদি লো কোয়ালিটি ব্যাকলিংক কিংবা ক্রয় কৃত কোন টুল থেকে ব্যাকলিংক পাওয়া যায় সেক্ষেত্রেও আপনার ওয়েবসাইটের রেংকিং কমে যেতে পারে।
- আবার তখনও কমে যেতে পারে যদি আপনার ওয়েব সাইটের বাউন্স রেট বেশি হয়ে যায়।
উপসংহারঃ আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভাল লাগে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব কিংবা আত্মীয়স্বজনের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কেননা হয়তো আপনার একটি শেয়ারের কারণে অনেক এই বিশেষ সম্পর্কে অচেনা ব্যক্তি জেনে যাবে। আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ।