ফুচকা তৈরির রেসিপি সহজ নিয়ম
স্ট্রিট ফুড বা রাস্তার খাবার গুলোর মধ্যে ফুচকা ও চটপটি অন্যতম। এই খাবারটিকে অনেকে পানি পুরিও বলে কারন পুরির সাথে টক পানি ও থাকে 🙂 । কিন্তু এসব বাহিরের খাবার আমাদের সাস্থের জন্য কতটা উপকারি সেটাও কিন্তু ভাবার বিষয়। আপনি চাইলেই বাসায় খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারেন এই ফুচকা। আমরা সবাই জানি যে, ফুচকার তিনটি অংশ থাকে। একটি পুরি বা পাঁপড়, একটি ভর্তা আর অন্যটি তেঁতুলের টক।
চলুন দেখে নেই এসব তৈরি করতে কি কি উপকরণ লাগবে…
ফুচকা বানানোর উপকরণঃ
পুরি বা পাপড় তৈরির জন্য
- ময়দা -২ কাপ
- সুজি –আধা কাপ
- সরিষা গুড়া -১ চা চামুচ
- তালমাখনা বা খাবার সোডা -১ চা চামুচ
- লবন-সামান্য
- তেল-সামান্য
- পানি পরিমান মত
পুর বা ভর্তার জন্য উপকরণ-
- কাবলি ডাল
- আদা বাটা –আধা চা চামুচ
- জিরা বাটা -আধা চা চামুচ
- লবন- স্বাদ মত
- কাচা মরিচ কুচি- ইচ্ছা মত
- চাট মশলা- পরিমান মত
- পিঁয়াজ কুচি -১ চামুচ
তেতুলের টক তৈরির উপকরণ
- তেঁতুলের টুকরা ৮-১০ পিস
- ভাজা ধনে ও জিরার গুড়া আধা চা চামুচ
- শুকনো ভাজা মরিচ গুড়া আধা চা চামুচ
- লবন- স্বাদমত
- চিনি- স্বাদমত।
ফুচকা প্রস্তুত প্রনালি বা ফুচকা তৈরির রেসিপি:
পুরি বা পাঁপড়ের জন্য প্রথমে একটি বাটিতে পরিমাপকৃত ময়দা, সুজি, সরিষা গুড়া, লবন, তেল ও তালমাখনা বা খাবার সোডা দিন (২ নং ছবির মত)
এরপর চামুচ দিয়ে খুব ভালো ভাবে মিক্স করুন (৩ নং ছবির মত)। চাইলে হাত দিয়েও মিক্স করতে পারেন এবং সেটাই উত্তম।
ভাল ভাবে মিক্স করার পর পানি দিয়ে শক্ত খামির তৈরির করে নিন(৪ নং ছবির মত)।
এরপর শক্ত ডো টি ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর রুটির মত বেলে ফুচকার সাইজে ছোট ছোট করে কাটুন (৫ নং ছবির মত)।
অপর দিকে তেল গরম দিন। ছোট ছোট কেটে রাখা পুরি গুলো ডুবো তেলে ভেজে তুলুন(৬ নং ছবির মত)।
পুর বা ভর্তা তৈরির প্রস্তুত প্রনালীঃ-
ফুচকার পুর বা ভর্তা তৈরির জন্য প্রথমে কাবলি ডাল ৪-৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ডালগুলো সামান্য জিরা বাটা, আদা বাটা, লবন হলুদ ও সামান্য তেল দিয়ে সিদ্ধ করে নিন(৭ নং ছবির মত)।
এরপর সিদ্ধ করা ডালে চাট মসলা, কাচাঁ মরিচ কুঁচি, পিয়াজ কুচি দিয়ে মেখে নিন।
তেঁতুলের টক তৈরির প্রনালীঃ
তেঁতুলের টক তৈরির জন্য প্রথমে তেঁতুলের টুকরা গুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ৫-১০মিনিট। এরপর তেঁতুলের বিচি থেকে আলাদা করে তাতে ভাজা ধনে ও জিরার গুড়া, শুকনা ভাঁজা মরিচ গুড়া, লবন, চিনি দিয়ে মিক্স করে নিন(৮ নং ছবির মত)।
ফুচকা পরিবেশনঃ
পরিবেশন নতুন করে কি শেখাবো। সেটা তো সবার জানা। তবুও নতুন দের জন্য বলছি পুরি বা পাপড় গুলো হাত দিয়ে ফুটো করে তাতে তৈরি কৃত পুর বা ভর্তা গুলো ঢুকিয়ে দিন। এরপর তেঁতুলের টক দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ফুচকা। (৯ নং ছবির মত)
তো এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। আপনাদের জানিয়েছি কিভাবে খুব সহজেই বাসাতে ফুচকা তৈরি করবেন । আশা করছি আপনিও বানিয়ে আপনার মেহমানদের খাাওয়াবেন 🙂 ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না 🙂 আবার আসবো আপনাদের সামনে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে । সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন 🙂
শুধু কি পোস্ট লিখলেই হবে, নাকি মাঝে মধ্যে দাওয়াত দিতে হয়। তা না হলে তো বুঝা যাবে না যে আপনি বানাইছেন না অন্য কেও? 😛
আমি সাক্ষী আছি 🙂 বাড়িতেই বানিয়েছে 🙂
দেখা যাক কি হয়।
Moch moch hossena keno….? Bolben plz
আপনি ফুচকার পোপড়গুলো বেশি করে ভাজন । তাতেও না হলে সুজির পরিমান একটু বাড়িয়ে নিয়ে দেখতে পারেন ।
আপনাদের এই সাইট থেকে অনেক কিছু শিখতে পারছি ধন্যবাদ।।।
ইশ!এক্ষুণি যদি খাইতে পারতাম
হা করো