Customize Consent Preferences

We use cookies to help you navigate efficiently and perform certain functions. You will find detailed information about all cookies under each consent category below.

The cookies that are categorized as "Necessary" are stored on your browser as they are essential for enabling the basic functionalities of the site. ... 

Always Active

Necessary cookies are required to enable the basic features of this site, such as providing secure log-in or adjusting your consent preferences. These cookies do not store any personally identifiable data.

No cookies to display.

Functional cookies help perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collecting feedback, and other third-party features.

No cookies to display.

Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics such as the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.

No cookies to display.

Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.

No cookies to display.

Advertisement cookies are used to provide visitors with customized advertisements based on the pages you visited previously and to analyze the effectiveness of the ad campaigns.

No cookies to display.

কিভাবে কম্পিউটার শিখবো

বর্তমান এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমরাদের দৈনন্দিন চাহিদার অনেকটা জুড়ে রয়েছে এই কম্পিউটারের ব্যবহার। কম্পিউটার আমাদের জীবন ব্যবস্থাকে সহজ করার পাশাপাশি বিশ্বকে এনে দিয়েছে হাতের মুঠোয়। যার ফলশ্রুতি আমরা প্রতিনিয়ত নানা কর্মের মাঝে দেখছি বা জানতে পারছি। আর সে কারনেই কম্পিউটার নামের এই অত্যাধুনিক যন্ত্রটির কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানাটা বর্তমান প্রজন্মের জন্য একটি অপরিহার্য বিষয় হয়ে দারিয়েছে। তাই অনেকেরই মনে এই ধরনের প্রশ্ন চলে আসে কিভাবে কম্পিউটার শিখবো ? আপনাদের এই ধরনের প্রশ্নের সমাধান নিয়ে পরামর্শ করতেই আজ আমরা আলোচনা করবো কিভবে কম্পিউটার শিখা যায় এবং কম্পিউটার শিখার কিছু পদ্ধতি ও কৌশল সম্পর্কে। চলুন তাহলে কম্পিউটার শেখার পদ্ধতি নিয়ে আমাদের মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।


 

how-to-learn-comuter

 

আসলে প্রথমেই আমরা আপনাদের বলেছি যে, কিভাবে কম্পিউটার শিখবো সে সম্পর্কে আপনাদের সাথে পরামর্শ করবো। এই কথাটা বলার অর্থ হল কম্পিউটার এমন একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র যেটি একদিনে কিম্বা অল্প কথায় শেখানো সম্ভব নয় এবং আপনিও হয়তো বিষয়টি জানেন। কিন্তু কিছু সঠিক নির্দেশনা আপনাকে জানতে সাহাজ্য করবে আপনার মনের মাঝে ঘুরতে থাকা কিছু প্রশ্নের সমাধান খুজতে। যেমন ধরুন, কম্পিউটার কি ? এটি কিভাবে কাজ করে ? এর মাধ্যমে কি কি করা যায় ? কম্পিউটারে কাজ করার জন্য কিভাবে নির্দেশনা বা কমান্ড দিতে হয় ? কম্পিউটার শেখার জন্য প্রথমে কি বিষয় দিয়ে শুরু করবো  ইত্যাদি। মূলত এই ধরনের প্রশ্নের সমাধান পরামর্শের মাধ্যমেই এবং সঠিক নির্দেশনার দ্বারাই আপনাকে এগিয়ে দেবে প্রযুক্তির সাথে ধাপ মিলিয়ে চলার কৌশল। আসুন তাহলে এবার যেনে নেয়া যাক এই সকল প্রশ্ন সম্পর্কে কিছু টিপস ও ট্রিক্স গুলো।

 

কম্পিউটার কি ?

বর্তমান প্রজন্মের কাছে কম্পিউটার কি সে সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই, তবুও আলোচনার স্বার্থে এ সম্পর্কে আমাদের কিছু তথ্য জানা প্রয়োজন। কম বেশি আমরা সকলেই জানি যে কম্পিউটার হল একটি ইলেকট্রনিক গণনাকারী যন্ত্র যা সঠিক নির্দেশনার মাধ্যমে অতি দ্রুত ও নির্ভুল ভাবে জটিল সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে। এছাড়াও এটি এমন একটি যন্ত্র যার মাধ্যমে আপনি যে কোন তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বণ্টন, যে কোন ধরনের ডাটা ইনপুট ও আউটপুট, ডাটা তৈরি ও ডিজাইন ইত্যাদি সহ অসংখ্য কাজের সমাধান দিতে জুড়ী নেই। এমন অনেক ধরনের কাজ আছে যা অনেক জন মানুষের পক্ষে করা কষ্ট সাধ্য ব্যাপার সেই কাজ খুব সহজেই ও অল্প সময়েই সমাধান করে দিতে পারে একটি কম্পিউটারের সঠিক পরিচালনার মাধ্যমে। বর্তমানে অনেক অত্যাধুনিক ও অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার আবিষ্কার হয়েছে, যার মাধ্যমে অভাবনীয় কাজ গুলো করা সম্ভব হচ্ছে। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান, মহাকাশ গবেষণা, রসায়ন ও পদার্থ বিজ্ঞানের মতো জটিল গবেষণা লব্ধ প্রজুক্তি বিজ্ঞান গুলো বর্তমানে কম্পিউটার দ্বারা পরিচালনা করা হচ্ছে।

 

কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে ?

কম্পিউটার নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। আমরা কম্পিউটারে যে সকল নির্দেশনা গুলো দিয়ে থাকি তা এই অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রক্রিয়া জাত হয়ে আমাদেরকে সমাধান দিয়ে থাকে। এখানে একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন সেটি হল, কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এপ্লিকেশন সফটওয়্যার রয়েছে যা কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমে ইন্সটল অর্থাৎ সেটআপ দিতে হয়। তারপর অপারেটিং সিস্টেমের দ্বারা সেই নির্দিষ্ট এপ্লিকেশন সফটওয়্যারটি পরিচালিত হয়ে এপ্লিকেশন সফটওয়্যারের নির্ধারিত কাজ গুলোর সমধান দিয়ে থাকে।

যেমন ধরুন আমরা যে সকল অফিশিয়াল কাজ গুলো করে থাকি সেগুলো Microsoft Office Program সফটওয়্যারের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। আবার বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করার জন্য Photoshop বা  Illustrator সহ যে সকল ডিজাইন সফটওয়্যার গুলো রয়েছে সেই সফটওয়্যার গুলোর মাধ্যমে ডিজাইনের কাজ করা হয়। একই ভাবে যে সকল কাজ গুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে করার প্রয়োজন হয় সেই কাজের জন্য আলাদা নিজস্ব এপ্লিকেশন সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়।

 

কম্পিউটারের মাধ্যমে কি কি করা যায় ?

বর্তমান সময়ে আমাদের দৈনন্দিন কাজের অধিকাংশ জুড়েই কম্পিউটারের হস্তক্ষেপ। বলা যেতেপারে প্রতিটি সেক্টরের প্রয়জনে বিশেষ বিশেষ ধরনের কম্পিউটার আবিষ্কার করা হচ্ছে। শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষণাগার, অফিসের হিসাব তৈরি ও সংরক্ষণে, কলকারখানা যন্ত্রপাতি পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রনে, বিনোদনের কাজে ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই কম্পিউটার এখন একটি একটি বহুল ব্যবহৃত যন্ত্র। এছাড়াও যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কম্পিউটার মানুষকে এনে দিয়েছে এক যুগান্তকারী সাফল্য, যার ফলশ্রুতিতে বিশ্ব এখন মানুষের হাতের মুঠোয়।

 

কম্পিউটারে কাজ করার জন্য কিভাবে নির্দেশনা বা কমান্ড দিতে হয় ?

কম্পিউটার একটি প্রজুক্তি সমৃদ্ধ যন্ত্র হলেও এই নির্দেশনা ছাড়া কোন কাজ করতে পারেনা। কম্পিউটারে কাজ করার জন্য বিশেষ করে নির্দেশনা দেয়ার জন্য ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইজ গুলো চেনা প্রয়োজন। সাধারণত যে সকল ডিভাইজ গুলোর মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারকে নির্দেশনা দিয়ে থাকি সেগুলো হল ইনপুট ডিভাইজ যেমনঃ কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, ওয়েবক্যাম ক্যামেরা ইত্যাদি। আবার ইনপুট ডিভাইজের মাধ্যমে তথ্য গ্রহনের পর কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ থেকে তথ্য প্রক্রিয়া জাত হওয়ার পর যে সকল ডিভাইজের মাধ্যমে ফলাফল প্রদান করা হয় সেই সকল ফলাফল প্রদান কারি ডিভাইজ গুলোকে আউটপুট ডিভাইজ বলে। যেমনঃ মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার, হেডফোন ইত্যাদি। এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কম্পিউটারে কমান্ডিং ডিভাইজ কোনগুলো।

তাবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে সাধারণত কীবোর্ড ও মাউসের দ্বারাই সবচেয়ে বেশি কমান্ড করা হয়ে থাকে এবং এই ডিভাইজ গুলোর মাধ্যমে প্রতিটি নির্দেশিত অপশন অনুযায়ী কমান্ড করে কার্জ সম্পাদন করতে হয়। এছাড়াও কম্পিউটারে কাজ সম্পাদনের জন্য প্রতিটি কাজের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে নির্দেশনা বা কমান্ড রয়েছে সে অনুসারে মাউস বা কীবোর্ড দ্বারা নির্দেশ দিয়ে কাজ করা হয়ে থাকে।

 

কম্পিউটার শেখার জন্য প্রথমে কি বিষয় দিয়ে শুরু করবেন ?

যার কম্পিউটার শিখতে চনা অর্থাৎ নতুন তাদের ক্ষেত্রে প্রথমেই যে প্রশ্নটি মনে জাগে সেটি হল কম্পিউটারের তো অনেক বিষয় রয়েছে তাহলে কি দিয়ে শুরু করবো। আসলে একজন নতুন কম্পিউটার শিক্ষার্থীর কাছে কম্পিউটার শিখর স্টার্টআপ বিষয় গুলো কি হবে সে সম্পর্কে ধারণা থাকাটা খুবই প্রয়োজন। তানাহলে কম্পিউটার শিখার ক্ষেত্রে আসতে পারে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা, যেটি আপনাকে সঠিক পন্থায় কম্পিউটারে পারদর্শী হয়ে উঠতে বাধা প্রদান করবে। তাই কম্পিউটার শিখার জন্য প্রাথমিক যে বিষয় গুলোর উপরে গুরুত্ব দিতে হবে সেটি হল কম্পিউটার কিভাবে On ও Off করতে হয় সেটি জানতে হবে। তারপর অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে নুন্যতম ধারণা থাকতে হবে, কীবোর্ড সম্পর্কে সঠিক ও পূর্ণ ধারণা থাকতে হবে।

তারপর আপনি অপারেটিং সিস্টেমের সাধারণ কিছু বিষয় সহ ছোট ছোট সফটওয়্যারের কাজ শিখতে শুরু করবেন যেমনঃ অডিও ভিডিও প্লে করা, ফাইল তৈরি করা ও ডিলিট করা, ফোল্ডার কিভাবে নিতে হয়, কিভাবে ফোল্ডারের ভিতরে ডাটা সেভ করে রাখতে হয়, ফোল্ডার ডিলিট কিভাবে করতে হয়, কিভাবে ডাটা কপি করতে হয় আবার এক জায়গার ডাটা কাট করে অন্য জায়গায় কিভাবে নিতে হয়, কিভাবে বিভিন্ন সফটওয়্যার ইন্সটল দিতে হয়, কিভাবে ডাটা ইনপুট ও আউটপুট কতে হয়, বাহির থেকে ডাটা কিভাবে কম্পিউটারের ভিতরে নিতে হয় এবং ভিতরের ডাটা কিভাবে বাহিরে আনতে হয় ইত্যাদি প্রাথমিক বিষয় গুলো যানা প্রয়োজন।

কম্পিউটারে কাজ করতে হলে প্রচুর লিখতে হয় । তাই লেখাতেও আপনাকে দ্বক্ষ হতে হবে । লেখার ধাপ গুলো জানতে ঘুরে আসতে পারেন এই লিংক

এছাড়াও কম্পিউটারে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আপনাকে প্রথমে মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রামের কাজ গুলো দ্বারা প্রথম ধাপ শুরু করাটা কম্পিউটার শিখার ক্ষেত্রে আদর্শিক দিক। যা আপনাকে প্রতিনিয়ত কম্পিউটারে দক্ষতা বাড়াতে সাহাজ্য করবে। মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রাম মূলত একটি প্যাকেজ প্রোগ্রাম অর্থাৎ এই প্রোগ্রামের মধ্যে বেশকিছু আলাদা প্রোগ্রাম রয়েছে। যেমনঃ Microsoft Word যার মাধ্যমে আপনি ডকুমেন্ট তৈরি করার জন্য লেখালেখির কাজ করতে পারবেন, Microsoft Excel যার মাধ্যমে আপনি অফিশিয়াল বিভিন্ন হিসাব তৈরি ও সংরক্ষণের কাজ করতে পারবেন। Microsoft Power Point এর মাধ্যমে আপনি ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে পারবেন। এছাড়াও মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রামের আরও কিছু আলাদা প্রোগ্রাম রয়েছে কিন্তু আপনার প্রাথমিক কাজ হিসেবে এই তিনটি কাজ আপনার পরবর্তী ধাপকে সহজেই এগিয়ে দেবে।

এখন প্রশ্ন হল মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রামের এই কাজ গুলো কিভাবে শিখবেন ? আসলে এতো বড় প্রোগ্রাম এতো অল্প কথায় শেষ করা বা বোঝানো সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা এখানেই থেমে নেই, আপনাদের এই পথ পারি দেবার কাজটি সহজ করতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা। Microsoft Word ও Microsoft Excel এর নানা খুঁটিনাটি বিষয়ের তথ্য জানতে নিচের দেয়া লিঙ্ক দুটিতে ক্লিক করুন। সেখানে ওয়ার্ড ও এক্সেল বিষয়ের বিভিন্ন খণ্ডিত বিষয়ের আলাদা আলাদা লিঙ্ক দেয়া রয়েছে। আপনার প্রয়োজন মতো বিষয় গুলো শেখার জন্য খণ্ডিত লিঙ্ক গুলিতে ক্লিক করে যেনে নিতে পারবেন কিভাবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও এক্সেলে কাজ করতে হয়। নিচে লিঙ্ক দুটি দেয়া হল…

কিভাবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড শিখবো ?
কিভাবে মাইক্রোসফট এক্সেল শিখবো ?

এছাড়াও পাওয়ার পয়েন্টের বিভিন্ন বিষয় সহ কম্পিউটারের যাবতীয় তথ্য গুলো পেতে আমাদের কিভাবে.কমের প্রজুক্তি, ওয়েব টিপস, অফিস প্রোগ্রাম, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ইত্যাদি ক্যাটাগরির পোস্ট গুলোতে চোখ রাখুন। আশা করি কম্পিউটারে দক্ষতা অর্জনে আমাদের এই সাইডটি আপনাকে ফলপ্রসূ সহায়তা করবে ইনশাল্লাহ।

 

এই ছিল আমাদের কম্পিউটার বিষয়ক প্রাথমিক আলোচনা। আমরা চেষ্টা করেছি সেই সকল আগ্রহী বন্ধুদের প্রাথমিক চাহিদা পুরনের জন্য যাদের কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা একটু কম কিন্তু কম্পিউটার সম্পর্কে যানার ও শেখার যথেষ্ট আগ্রহ রাখেন। আপনার এই যানা ও শেখার আগ্রহ আপনাকে সফলতার উচ্চ শেখরে পৌঁছে দেবে এটাই আমাদের কাম্য। তাই আপনার এই যানার ও শেখার আগ্রহকে এগিয়ে নিতে আপনার পাশে রয়েছে জানতে এবং জানাতে কিভাবে.কম। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ…

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *