খাদ্য সংরক্ষণের উপায়সমূহঃ
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে বিভিন্ন উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব। সূর্যের তাপে ডাল, গম, চাল প্রভৃতি শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়। ফ্রিজের ভেতরে সবজি, মাছ, মাংস, ফল-ফলাদি প্রভৃতি বেশ কয়েকদিন টাটকা রাখা যায়। তাছাড়া মাছ, মাংস, শাকসবজি হিমাগারে সংরক্ষণ বছরের বিভিন্ন সময়ে বাজারে সরবরাহ করা যায়। ফল-ফলাদি হতে প্রস্তুতকৃতে আচার, জ্যাম ও জেলি বায়ু প্রবেশ করেতে পারে এমন পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়। লবণ কিংবা বরফ দিয়ে অনেকদিন যাবৎ মাছ সংরক্ষণ করা যায়। আবার আম, বরই, জলপাই প্রভৃতি তেল, চিনি দিয়ে অনেকদিন সংরক্ষণ করা সম্ভব।
খাদ্য সংরক্ষণের গুরুত্বঃ
খাদ্য সংরক্ষণ দ্রুত পচন এবং অপচয় রোধ থেকে খাদ্য রক্ষা করে। ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই মাছ, মাংস, দুগ্ধজাত দ্রব্যাদি, ফল-ফলাদি সবজিসমূহ পচে নষ্ট হয়। খাদ্য সংক্ষণ করলে খাদ্য দ্রব্যে পচন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না। খাদ্য সংরক্ষণ করলে সারা বছর বিভিন্ন মৌসুমী খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যায়। এছাড়ও খাদ্য সংরক্ষণের কারণে অনেক দূরবর্তী এলাকাগুলোতে সহজে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা যায়।