চিকুনগুনিয়া:
চিকুনগুনিয়া ভাইরাসজনিত জ্বর যা মশার কামড়ের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়ে এক মানুষ হতে অন্য মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এ রোগটিও এডিস প্রজাতির মশার কামড়ের কারণে সংক্রমিত হয়ে থাকে এবং এর লক্ষণও ডেঙ্গু ও জিকার মতোই একই রকম প্রকাশ পায়। যথা: তীব্র মাথা ব্যথা, শরীরে ঠান্ডা অনুভূত হওয়া, জ্বরের সঙ্গে গিটে গিটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, মাংসপেশিতে ব্যথা হওয়া, চামড়াতে লালচে দানা হওয়া প্রভৃতি। সাধারণত এ রোগ আপনা আপনিই সেরে যায়, তবে গিটের ব্যথা উপশম হতে কয়েক মাস অথবা কয়েক বছর সময় অতিবাহিত হতে পারে। চিকুনগুনিয়া রোগ থেকে রক্ষার সহজ উপায় হচ্ছে মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া। শরীরের সম্পূর্ণ অংশ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা, প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের দরজা জানালা খোলা না রাখা, জানালাতে নেট ব্যবহার করা, ঘুমানোর পূর্বে মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো, মশা প্রতিরোধকারী ক্রিম ব্যবহার করার মাধ্যমে এ রোগ মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থ রোগীদের সেবা করা জরুরি।
প্রতিরোধ:
চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধের জন্য নিজ আবাসস্থল ও এর চারপাশের যেখানে মশা প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি করে সেগুলো ধ্বংস করতে হবে। বাড়ির চারপাশে মাটির পাত্র, বালতি, ড্রাম, টায়ার, কলসী, ডাবের খোসা যেগুলোতে বেশ কিছুদিন যাবত পানি জমা হয়ে আছে এগুলোই হচ্ছে মশার বংশবিস্তারের উত্তম জায়গা। এসব জিনিসে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা এবং প্রতিদিন বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। প্রয়োজনে মশা নিধনের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। যেহেতু এ মশা আক্রান্ত ব্যক্তির জীবাণু থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে আক্রান্ত করে তাই আক্রান্ত ব্যক্তিতে যাতে মশা কামড়াতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।