সাপের দ্বীপের বিস্তারিত বর্ণনাঃ
পৃথিবীতে এমন একটি দ্বীপ আছে যা Snake Island (সাপের দ্বীপ) নামে পরিচিত। এই দ্বীপটি এতটাই ভয়ংকর যে, এখানকার সরকার এই দ্বীপে মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এই দ্বীপে যেদিকেই তাকানো যায় শুধু সাপ আর সাপ দেখতে পাওয়া যায়। দ্বীপটিতে এত পরিমাণ বেশি সাপ আছে যে এ কারণে একে Snake Island (সাপের দ্বীপ) বলা হয়।
এই দ্বীপটির আসল নাম Lihada Queimada Grande। তবে স্থানীয় লোকজন এই দ্বীপটিকে সাপের দ্বীপ বলে বেশি পরিচিত। আটলান্টিক মহাসাগরের উপর ব্রাজিলের উপকুলে এই দ্বীপটি অবস্থিত। বাহিরে থেকে এই দ্বীপটি এতটাই সুন্দর দেখা যায় যে কেউ এখানে বেড়াতে যেতে চাইবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দ্বীপটি অত্যন্ত ভয়ংকর। দ্বীপটিতে প্রতি বর্গমিটারে ১ থেকে ৫টি সাপের দেখা পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে ১৯০০ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত মানুষর শেষ বসতি ছিল। এই দ্বীপে একটি লাইট হাউজ আছে যা দেখে সমুদ্রের ভাসমান জাহাজগুলো দিক নির্ণয় করেন।
প্রায় ১১ হাজার বছর পূর্বে এই দ্বীপটিও ব্রাজিলের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু সমুদ্রের পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে দ্বীপটি ব্রাজিল থেকে আলাদা হয়ে যায়। তখনও এই দ্বীপটিতে এত বেশি পরিমাণে সাপ ছিল না। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাপেদের প্রজননের মাধ্যমে এখন এখানে প্রায় ২ হাজার ৪ হাজার সাপের অবস্থান। এই সাপগুলো অত্যন্ত বিষাক্ত। পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপের মধ্যে Golden Lanchead সাপের অবস্থানও এই দ্বীপেই। সাপটির শরীর হলদেটে বাদামী রংয়ের এবং লম্বায় এরা ২৮ ইঞ্চি। এই সাপ এতটাই বিষাক্ত যে, যদি এই সাপ একবার কোন মানুষকে দংশন করে তবে ১ ঘন্টার মধ্যে সে মানুষটি মৃত্যুবরণ করে। এই সাপ এত বিষাক্ত ভয়ংকর যে, একবার দংশন করে মানুষের কিডনি তার কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, পেশীগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ব্রেইন হ্যামারেজ হতে পারে। এই দ্বীপে সাপ ছাড়া অন্য কোন প্রাণীর অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। যদিও কিছু পাখি দেখা যায় সেগুলোও সাপেদের আক্রমণের শিকার হয়।