দু তরফা দাখিলা কি
দুতরফা দাখিলা হিসাব পদ্ধতি হলো একটি পরিপূর্ণ, বিজ্ঞানসম্মত, স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং নির্ভরযোগ্য একটি পদ্ধতি। দু তরফা দাখিলা পদ্ধতির বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে। বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে এ হিসাব পদ্ধতি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। নিম্নে এর সুবিধাসমূহ নিম্নরুপঃ
দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির সুবিধা
- প্রতিটি লেনদেনের ক্ষেত্রে ডেবিট এবং ক্রেডিট বিচার বিশ্লেষণ করে সমান সমান টাকায় লিপিবদ্ধ করা যায় বলে যে কোন লেনদের পূর্ণাঙ্গ হিসাব সম্পর্কে জানা যায়।
- প্রত্যেকটি লেনদেনের ডেবিট পক্ষের অপরদিকে সমান সমান অঙ্কের ক্রেডিট দাখিলা লিপিবদ্ধ করতে হয়। ফলে কোন নির্দিষ্ট তারিখে রেওয়ামিল তৈরি করে গাণিতিক হিসাবের নির্ভুলতা পর্যবেক্ষণ করা যায়।
- দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যবসায়িক মুনাফা জাতীয় আয় ও ব্যয়ের পূর্ণ ও সঠিক হিসাব সংরক্ষণ করা হয় বলে পরবর্তী সময়ে বিশদ আয় বিবরণী তৈরি করে ব্যবসায়ের নিট মুনাফা অথবা নিট লোকসান নির্ণয় করা যায়।
- দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে হিসাব সংরক্ষণ করলে অতি সহজেই ভুল সংশোধন, জালিয়াতি নিরুপণ এবং তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা যায়।
- এ পদ্ধতিতে হিসাব সংরক্ষণের ফলে ব্যবসায়িক কর্তৃপক্ষ যে কোন মুহুর্তে তার মোট পাওনা ও দেনার পরিমাণ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের করতে পারবেন।
- এ পদ্ধতির ভিত্তিতে আয়কর, ভ্যাট, আমদানি শুল্ক ও রপ্তানি শুল্ক প্রভৃতি কর কর্তৃপক্ষের নিকট গ্রহণযোগ্য হয়।
- এ পদ্ধতিতে অযাচিত ব্যয় অতি সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।
- এ পদ্ধতিতে প্রতিটি লেনদেনকে বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে ডেবিট-ক্রেডিট বিচার বিশ্লেষণ করে লিপিবদ্ধ করা হয়। এ কারণে বড় কিংবা ছোট সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
- দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি একটি বিজ্ঞানভিত্তিক, নির্ভুল, পরিপূর্ণ এবং নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি বিধায় সমগ্র বিশ্বে এটি একটি সর্বজনস্বীকৃত পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে।