কাঁচা আমের জুস – আমের ভিন্নধর্মী একটি জুস
ফলের রাজা আম। আমাদের দেশে আমের চাহিদা ব্যাপক। আম কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাঁকা অবস্থায় হলুদ রং ধারণ করে। আম দিয়ে বিভিন্ন ধরণের পদ বা আইটেম তৈরী করা যায়। যেমনঃ আমের আঁচার, আমের টক ডাল, আমের চাটনি, পাকা আমের জুস। আর আজ আমি নিয়ে এসেছি আপনাদের কাছে কাঁচা আমের জুস – আমের ভিন্নধমী একটি জুস বা শরবত। যা গরমকালের জন্য উপযোগী। বাইরের প্রচণ্ড গরম থেকে যখন ঘরে ফিরবেন আর এক গ্লাস ঠাণ্ডা চটপটা দারুন স্বাদের কাঁচা আমের শরবত বা জুস খেতে পারবেন তাহলে দেখবেন আপনার মন-প্রান একসাথে সতেজ হয়ে উঠবে।
এর আগে ভিন্নধর্মী তরমুজের জুস নিয়ে এসেছিলাম । চলুন, আজ দেখে নেই কাচা আমের জুস বানানোর ধাপ গুলো । শুরুতেই দেখে নেই কি কি উপকরন লাগবে কাঁচা আমের জুস করতে।
কাঁচা আমের জুস
নিচে আমের জুস তৈরিতে কি কি লাগবে এবং এর প্রস্তুত প্রণালী ধাপে ধাপে তুলে ধরা হয়েছে ।
কাঁচা আমের জুস এর উপকরনঃ
জুস তৈরি করতে নিচের উপকরন গুলো হাতের রেডি করে রাখুন ।
- কাঁচা আম
- চিনি
- লবন
- ভাজা জিরা ও ধনিয়া জিরা গুঁড়া
- কাঁচা মরিচ
- ধনিয়া পাতা(ঐচ্ছিক)
- লেবু
- আইস কিউব
জুস প্রস্তুত প্রণালীঃ
এবার দেখা যাক কিভাবে বানানো যায় কাঁচা আমের ভিন্নধমী একটি জুস ।
প্রথমে বড় সাইজের কয়েকটি কাঁচা আম নিন (প্রয়োজন মত)।
আপনি চাইলে খোসা সহ বা খোসা ছেড়ে বিভিন্ন সাইজে আম গুলোকে কেটে নিতে পারেন। আমি খোসা ছাড়িয়ে আম কুচি করে কেটে নিয়েছি নিচের ছবির মতো ।
এবার এলো আসল সময় । একটি ব্লেন্ডার এ কেটে রাখা আম,লবন, চিনি,কাঁচা মরিচ, ভাজা ধনিয়া ও জিরা গুরা, ধনিয়া পাতা(ঐচ্ছিক), লেবু(গন্ধের জন্য) এক সাথে দিন। নিচের ছবির মতো । সাথে কিছুটা ঠান্ডা পানিও দিতে পারেন ।
জুসের সব উপকরন দেয়া হয়েছে । এবার একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন কিছুক্ষন । দেখুন তো, কাচা আমের জুস রেডি কিনা 🙂 ? জি, জুস রেডি । এবার সময় পরিবেশন করার ।
এবার সাজিয়ে নেবার জন্য লেবু গোল গোল করে কেটে নিতে পারেন । কাঁচের গ্লাসে ঢেলে তাতে চাইলে বরফ কিউব দিতে পারেন । তো ? এবার পরিবেশন করুন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা টক-ঝাল-মিষ্টি স্পেশাল আমের জুস বা শরবত।