কিভাবে ঘরে বসেই বাটার-নান তৈরি করব
আজকাল রেস্টুরেন্ট গুলোতে নানা ধরণের খাবার পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারের একটি হল নান। কিন্তু খুব সহজেই ঘরে বসেই বাটার-নান তৈরি করতে পারি। তাই আজ আমরা কিভাবে ঘরে বসেই বাটার নান তৈরি করব সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। চলুন জেনে নেয়া যাক বাটার নান বানানোর রেসিপি
নান রুটি বা বাটার নান রুটি কি
ঘরে বসেই বাটার-নান তৈরি করার আগে জানা প্রয়োজন নান রুটি বা বাটার নান আসলে কি! এটি একধরণের রুটি যার প্রথম প্রকাশ পাওয়া যায় ইন্দো-পার্সিয়ান কবি আমির কুশরউয়ের বিভিন্ন নোটে। সেখান থেকে পাওয়া যায় যে দিল্লির ইম্পেরিয়াল কোটে একধরনের বিশেষ চুলা বা তনুর মধ্যে বেকড হওয়া্ ঘন রুটি।
নান রুটি বা বাটার নান রুটি তৈরিতে কি কি প্রয়োজন হয়
১. স্বচ্ছ ময়দা নিতে হবে ১ কাপ
২. পরিষ্কার ইষ্ট নিতে হবে, ১ চা চামচ
৩. ভাল টক দই- ২ টেবিল চামচ
৪. লবণ যেমনটি আপনার প্রয়োজন
৫. সয়াবিন তেল- ১ টেবিল চামচ পরিমাণে
৬. গরুর দুধ পরিমাণ মতো, কুসুম গরম
৭. বাটার ২ টেবিল চামচ পরিমাণ
৮. কুচি কুচি করে কাটা ধনিয়া পাতা- ১ টেবিল চামচ
কিভাবে তৈরি করবেন বাটার নান
প্রথমে একটি বাটিতে কুসুম গরম দুধ নিন।
এরপর দুধের সাথে ইস্ট এবং চিনি মিশিয়ে ঢেকে রেখে দিন।
প্রায় ১০ মিনিটের মত এই দুধের মিশ্রণ রেখে দিতে হবে।
এবার আলাদা আরেকটি পরিষ্কার পাত্র নিন।
এথন তাতে ময়দা নিয়ে তার সাথে লবন, টক দই এবং তেল মিশিয়ে নিন।
এই ময়দার মিশ্রণের মধ্যে দুধ এবং ইস্টের দ্রবণ ঢেলে দিয়ে ভালকরে মেখে নিন।
তারপর সেটা রুটির খামিরের মত করে খামির তৈরি করুন।
খামিরের গায়ে তারপর সামান্য পরিমাণ তেল মেখে নিন।
এই খামির একটু গরম জায়গায় ঢেকে রেখে দিন।
এরকম করে এই খামির এক থেকে দেড় ঘণ্টার জন্য রেখে দিতে হবে।
ঢেকে রাখা জমানো খামির নিয়ে ৪ ভাগে ভাগ করুন।
এরপর প্রতিটি ভাগকে ভালকরে গোল করে মুড়ে নিন।
এই খামির সমূহ আবার ১৫ মিনিটের জন্য ঢেকে রেখে দিন।
এবার গোল্লাগুলো অল্প অল্প করে ময়দা দিন, এরপর তা দিয়ে রুটির থেকে একটু মোটা করে বেলে নিতে হবে।
এরপর চুলায় একটি প্যান নিয়ে তা গরম করুন।
প্যান গরম হলে চুলার আঁচ মাঝারি থেকে সামান্য একটু বেশি তাপে রেখে দিন।
একটি বাটিতে ১ কাপ পানি নিন।
পানিতে ১/২ চা চামচ লবন নিয়ে মিশিয়ে নিন।
গরম প্যানে সেই পানি খুব সামান্য পরিমাণে ছিটিয়ে দিন।
এই পানি সামান্য পরিমাণে রুটির একপাশেও লাগিয়ে নিন।
এখন প্যানের পানি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে রুটি ছেড়ে দিন।
খেয়াল রাখুন যে পাশে পানি লাগানো হয়েছে সেই পাশ প্যানের উপর যেন পড়ে।
যখন রুটি ফু্লে উঠতে শুরু করবে তখন চুলার উপর রুটি সহ প্যান উল্টিয়ে ধরুন।
যদিও রুটি পড়ার কথা নয় তবুও এ ব্যাপারে খেয়াল রাখুন।
আবার খেয়াল রাখুন রুটি একেবারে চুলার সাথে লাগিয়ে না রাখা হয়।
এতে রুটি বেশি পুড়ে যেতে পারে।
রুটি একটু বাদামি রং শুরু করলে রুটি তুলে নিয়ে প্লেটে রাখুন।
এবার একটি পাত্রে বাটার গলিয়ে নিয়ে এর সাথে ধনিয়া পাতা কুঁচি মিশিয়ে দিন।
এরপর গরম গরম নানের উপর বাটার ভাল করে ব্রাশ করে দিন।
তৈরি হয়ে গেলো বাটার নান 🙂 তারপর তা পরিবেশন করে দিন। এই ছিলো বাটার নান তৈরির রেসিপি।