টু ওয়ে সুইচ কি কেনো কিভাবে টু ওয়ে সুইচ কানেকশন করা যায়
কেমন হতো, যদি শিড়ি বা গলির দুই পাশ থেকেই লাইট বন্ধ বা চলু করা যেতো ? জি, এ কাজটি করা যায় টু ওয়ে সুইচ ব্যবহার করে। চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে টু ওয়ে সুইচ কানেকশন করা যায়।
টু ওয়ে সুইচ ব্যবহার করে লম্বা গলির কিংবা সিড়ির বাতি জালানোর বা নেভানোর কাজটি খুব সহজেই করা যায়। আর যে কোন দিক থেকেই বাতি জালানো বা নেভানোর কাজটিও করা যায় ।
প্রায় ১৮ থেকে ২০ বছর আগেই এটি ব্যবহার করেছি আমাদের বাড়ির শিড়িতে :), তবে আজ কেনো যানি মনে হলো সবার সাথে শেয়ার করা দরকার 🙂
আমরা এই টিউটোরিয়াল এ আলোচনা করবো টু ওয়ে সুইচ এর কাজ এবং এটি কিভাবে ব্যবহার করবেন । বাড়ির শিড়ি কিংবা লম্বা গলির জন্য ভালো একটি মাধ্যম হতে পারে এই Two-Way সুইচ এর ব্যবহার । করান দুইটা সুইচের যে কোন একটি দিয়েই কানেকশন চালু বা বন্ধ করা যায় 🙂 তো চলুন শুরুতে পরিচিত হই Two-Way Switch এর সাথে ।
টু ওয়ে সুইচ কি ?
এটি এমন এক ধরনের সুইচ যাতে তিনটি তারের সংযোগ দেবার ব্যবস্থা থাকে । এবং এটির আসলে কোন অফ বা অন নেই। দুই দিকেই অন বা অফ করা যায় এটি দিয়ে আপনি কিভাবে একটির কানেকশন দিচ্ছেন তার উপর ।
টু ওয়ে সুইচ এক ধরনের মাল্টিওয়ে সুইচ । মাল্টিওয়ে সুইচ গুলোতে আরো বেশি পয়েন্ট থাকে এবং একসাথে আনেক ভাবে কন্ট্রল করা যায় ।
মাঝের কানেকশন টি সাধারনত লোড এ যায় এবং পাশের দুটি সোর্চ হিসেবে কাজ করে । আবার এর উলটাটিও হয় বাতির সংযোগ এ ব্যবহার করলে ।
কেনো এবং কোথায় টু ওয়ে সুইচ ববহার করা যায়
সাধারনত লম্বা গলি কিংবা সিঁড়ি তে লাইট বন্ধ করা ও চালু করার কাজে বেশি ব্যবহার হয় এটি যা ভূমিকাতেই বলেছি । এ ছাড়াও এটিকে চেন্জার হিসেবেও ব্যবহার করা যায় । মানে জেনারেটর এবং মেইন লাইন এর যে কোন একটি থেকে সংযোগ নেবার জন্য ও ব্যবহার করা যায় Two Way Switch.
টু ওয়ে সুইচ কানেকশন করা যায় কিভাবে সেটি দেখার আগে চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে এটি কাজ করে সেটি দেখে নেই ।
কিভাবে কাজ করে দ্বিমুখী সুইচ ?
দ্বিমুখী সুইচ বা Two Way Switch এর তিন টি তার এর সংযোগ ব্যবস্থা থাকে । নিচের ছবিটি দেখুন , সুইচটির যে কোন এক দিক সবসময় মাঝেরটিতে সংযোগ দেয় ।
যদি এটি চেন্জার হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে, মাঝের টি অর্থাৎ COM এ আপনার বোর্ডের লাইন টি দিন । আর L1 বা L2 তে ফেস দিন এবং অপরটিতে জেনারেটর এর লাইন দিন ।
আর যদি বাতি বা ফ্যানের সুইচ হিসেবে ব্যবহার করেন, তখন দুটি সুইচ লাগে । নিচের ছবিতে দেখুন ।
এক্ষেত্রে মাঝের টিতে লাইন দেয়া থাকে ও দুই পাশের দুটি সরাসরি অপর সুইচ এর একই অংশের সাথে যুক্ত থাকে ।
টু ওয়ে সুইচ কানেকশন
ব্যবহার ভেদে টু ওয়ে সুইচের কানেকশন ভিন্ন হয় । যদি আপনি চেন্জার হিসেবে ব্যবহার করেন, তাহলে মাঝের টিতে লোড দিবেন আর উপরের ও নিচের টিতে দুটো আলাদা লাইন ।
ধরুন L1 এ সংযোগ দিলেন IPS বা জেনারেটর এর এবং L2 এ দিবেন মিটারের থেকে আসা সংযোগ ।
আর COM থেকে যে লাইন টি বের হবে, সেটি ব্যবহার করবেন আপনার যেখানে লোড থাকবে সেখানে ।
নোট: সুইচ টির লোড ক্যাপাসিটি সাধারনত 6A হয়, তাই খেয়াল রাখবেন যেনো খূব বেশি লোড না পড়ে । এবং সেশি লোড পড়লে 15A বা 30A এর চেন্জার ব্যবহার করুন ।
বাতি বা ফ্যানের সুইচ কানেকশন
দুটির মধ্যে প্রথমটি আমার কাছে সহজ ও প্রিয়ো ।
সুইচ কানেকশন টাইপ ১
সবচেয়ে সহজ যে কানেকশন টি সেটি নিচের ছবির মতো । দুটি সুইচের L1 এর সাথে L1 ও L2 এর সাথে L2 তার দিয়ে সংযোগ করুন । এবার মাঝের টির একটিতে দিন ফেইজ ও অপরটির মাঝের টি থেকে বাল্ব বা ফ্যান এ সংযোগ দিন ।
আর বাতি বা ফ্যানের অপর টিতে নিউট্রাল দিন । ব্যাস হয়ে গেলো । এবার যে কোন একদিক থেকেই অন বা অফ করতে পারবেন ।
সুইচ কানেকশন টাইপ ২
এবারের সংযোগ টি একটু ভিন্ন ধরনের । মাঝের টির সাথে অপর সুইচের মাঝের টির সরাসরি সংযোগ থাকে । এবং L1 এর সাথে L1 ও L2 এর সাথে L2 এর সংযোগ থাকে । কিংবা বলা যায় সবগুলোর সাথে রেসপেকটিভলি অন্য সুইচের সংযোগ দিতে হয় ।
এর পর L1 এ ফেইজ যাবে এবং L2 দিয়ে বেরুবে ফেইজ । L2 থেকে বের হওয়া ফেইজ যাবে লোডের এক পাশে ও অন্য পাশে যাবে নিউট্রাল । হয়ে গেলো সংযোগ ।
নিচে ফ্যান এর একটি সংযোগ দেয়া দেখানো হলো যা প্রথমটির মতো করেই কানেক্ট করা ।
তো এই ছিলো শিড়ি বা গলির বাতির বিশেষ সুইচ কানেকশন পদ্ধতি ।
অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয় গলির বাতির বিষয় টি আলোচনা করে 🙂 খুব কাজে দেবে আমার ।
Raihanuddin