মাইক্রোসফট অ্যাক্সেস পরিচিতি – Microsoft Access 02

মাইক্রোসফট ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, এইটি গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট টুলসের সাথে সম্পর্কযুক্ত । মাইক্রোসফট অ্যাক্সেস ডেটাবেস টেবিল ইঞ্জিনকে যুক্ত করে। অ্যাক্সেস ডেটাবেস ইঞ্জিনের উপর ভিত্তি করে মাইক্রোসফট অ্যাক্সেসের নিজস্ব ফরম্যাটের তথ্য সংরক্ষণ করে। এটি অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন এবং ডেটাবেসে সংরক্ষিত ডাটা সরাসরি প্রর্দশন করতে পারে।  ডাটাবেসকে সংক্ষেপে বলে DB, ( DB = Data Base) আর ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Database Management System ) এর সংক্ষিপ্ত রুপ হচ্ছে DBMS ।


আমরা পূর্বের আলোচনায় জেনেছি, মাইক্রোসফট অ্যাক্সেস কি ও এর কাজ কি । আজকের আলোচনায় আমরা জেনে নিবো, Microsoft Access পরিচিতি ।

Microsoft Access পরিচিত

Microsoft office access  হলো  Microsoft Office প্যাকেজ প্রগ্রামের এর একটি অংশ যেটি ডাটা মেনেজ করার জন্য বেশ জনপ্রিয় ।  এটি অফিস প্রগ্রামের সাথে ডিফল্ট থাকে এবং ব্যবহার সহজ হওয়ায় অনেক অফিস ও ছোট ব্যবস্যা প্রতিস্ঠান এই database software টি ব্যবহার করে থাকে । আমরা Microsoft access 2016 নিয়ে আলোচনা করবো আমাদের টিউটোরিয়াল গুলোতে । নিচে বেসিক বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা ধারনা দেবার চেস্টা করেছি ।

ডেটাবেসঃ

ডাটাবেস হল কোন কম্পিউটার সিস্টেমে সঞ্চিত তথ্য  উৎপাত্তকে ডাটাবেস বলে । যেমন , কোন স্ক্ল বা কলেজে ছাত্র ছাত্রীর নাম রেকড ভাদে সারিব্ধ করে রাখা হয় , যাতে করে নামগুলো খুঁজে বের করতে সুবিধা হয় । ঠিক তেমন ভাবে আমরা ডাটাবেস ডাটাগুলোকে সারিবব্ধ আকারে সাজিয়ে রাখি । আর সাজিয়ে রাখাকেই ডেটাবেস বলা হয় ।

কুয়েরী (Query)

একটি টেবিলে লাখ লাখ ডেটা থেকে প্রয়োজনীয় যে কোন ডাটাকে সহজ ভাবে প্রর্দশন ও দ্রত কার্যকর ব্যবস্থাকেই কুয়েরী বলে । কোন রেকর্ডের কোন কোন ফিল্ডগুলো প্রদর্শন করতে চান, টেবিল থেকে তা নির্ধারন করে দিলেই হবে । বড় থেকে ছোট বা ছোট থেকে বড় প্রর্দশন করা যায় । কুয়েরী কিভাবে ব্যবহার করা হয় আমরা পরবর্তী অংশে আলোচনা করবো ।

রিপোর্ট (Reports )

ডাটাবেসে একাধিক টেবিলে সংরক্ষিত অসংখ্য রেকর্ড থেকে শুধুমাত্র প্রয়োজনী রেকর্ডসমূহকে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার জন্য রিপোর্ট ব্যবহার করা হয় । একসিস রিপোর্টে গ্রাফ, চার্ট এবং বিভিন্ন ধরেনের ফন্ট ও স্টাইল সংযোজন করা যায় ।

ম্যাক্রো  (Macro)

ডাটাবেসে ম্যাক্রো একটি শক্তিশালী উপাদান । যা ডাটাবেসে কাজের গতিকে আরও দ্রততম করার জন্য ম্যাক্রো প্রয়োজনীয় । পরশপর এক সাথে অনেকগুলো কাজের লিস্টকে ম্যাক্রো হিসাবে রাখা যায় । ম্যাক্রো করে রাখার পর যখনই প্রয়োজন হবে তখনই ম্যাক্রো চালালে সবগুলো কাজ দ্রত সম্পন্ন হবে । এতে করে ডাটাবেসে কাজ করবার সময়ের সাশ্রয় ঘটে । তাছাড়াও এপ্লিকেশন ডেভেলপারের জন্য বেশ কাজের এইটি ।

ডেটাবেস তৈরি, ফর্ম ডিজাই, রিপোর্ট তৈরি , প্রিন্টিং ইত্যাদি কাজ সম্পর্ন করতে একই কাজ বার বার করার প্রয়োজন হয় । Macro তৈরি মাধ্যেমে একটি Single Action- এ রূপান্তর করা যায় । তাহলে একবার কাজ সম্পর্ন করে আমার একাধিক ব্যবহার করতে পারি ।

মডুলস(Modules):

মাইক্রোসফট অ্যাক্সেসে Visual Basic ব্যবহার করে উন্নতমানের প্রোগ্রাম তৈরির কাজে মডুউলকে ব্যবহার করা হয় । যেমন ধরুন, আপনি ভিউজিয়াল বেসিক দ্বারা একটি উন্নত মানের প্রোগ্রাম তৈরি করবেন, সেক্ষেত্রে Modules ব্যবহার করার দরকার হবে ।

ভিজুয়াল বেসিক(Visual Basic) :

ভিজুয়্যাল বেসিক সংক্ষেপে বলা হয় VB , Visual Basic । অ্যাক্সেসে ফর্ম কিংবা রিপোর্ট ডিজাইন উইন্ডোতে টুল বক্সের কোন টুল ব্যবহার করে রিপোর্ট কিংবা ফর্মের স্থাপন করে একটি কার্যকর জন্য কোড লিখতে হয় । কোড লিখার জন্য ভিজুয়্যাল বেসিকের বিল্ডারে গিয়ে কোড লিখা যায় । অর্থাৎ ভিজুয়্যাল বেসিক ব্যবহার করে আমরা খুব সহজে ফর্ম কিংবা রিপোর্ট তৈরি করে নিতে পারি ।

You may also like...

1 Response

  1. Riyadul Hasan says:

    Tnx for excellent information.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!