গণিত বিজ্ঞানের প্রধান শাখা তিনটি। যথাঃ
১।পাটিগণিত
২।বীজগনিত
৩।জ্যামিতি
১।পাটিগণিতঃ
পাটিগণিত হলো সংখ্যার বিজ্ঞান। এইখানে বিভিন্ন সংখ্যাকে যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগের মাধ্যমে আলোচনা করা হয়, যার মাধ্যমে কোন সমস্যার সমাধান করা যায়। এছাড়াও সংখ্যার বর্গ, বর্গমূল, ভগ্নাংশ প্রভৃতি কার্যবিধি নিয়ে বর্ণনার মাধ্যমে গড়ে উঠেছে পাটিগণিত।
২। বীজগণিতঃ
পাটিগণিতে এবং জ্যামিতিতে যে সমস্যার সমাধান দুঃসাধ্য, বীজগণিতে সেগুলো প্রতীক ও সূত্রের ব্যবহারে তা হয়ে ওঠে সহজতর। এইজন্য বীজগণিতের সৃষ্টি হয়েছে।
৩।জ্যামিতিঃ
জ্যামিতি শব্দের অর্থ হলো ভূমির পরিমাপ। জ্যামিতি হলো বিভিন্ন আকার, আকৃতি ও তাদের সম্পর্কের বিজ্ঞান। এইখানে জমি সংক্রান্ত সমস্যা গুলো বিভিন্ন উপপাদ্যের মাধ্যমে সমাধান করা হয়। কিন্তু আধুনিক যুগে কেবল ভূমি পরিমাপের জন্যই ব্যবহৃত হয় না বরং বহু জটিল গাণিতক সমস্যা সমাধানের ও ব্যাখ্যাদানে জ্যামিতিক জ্ঞান অপরিহার্য। এখানে দ্বিমাত্রিক, ত্রিমাত্রিক ভূমি, বিন্দু, রেখা, তল এবং তাদের বিশেষ ধর্মাবলী নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জ্যামিতি আবার দুই প্রকারঃ
১। ইউক্লিডীয় জ্যামিতি
২। বিশ্লেষণ জ্যামিতি
১। ইউক্লিডীয় জ্যামিতিঃ
ইউক্লিডীয় জ্যামিতিতে কোন তথ্য জ্যামিতিক চিত্রের সাহায্যে উপস্থাপন করে তার সাহায্যে প্রমাণ দেখানো হয়।
২।বিশ্লেষণ জ্যামিতিঃ
বিশ্লেষণ জ্যামিতি ইউক্লিডীয় জ্যামিতি হতে পদ্ধতিগতভাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে জ্যামিতিক সম্পাদ্যকে বীজগাণিতিক রাশি বা সমীকরণ আকারে প্রকাশ করে তার জ্যামিতিক আকারে দেখা হয়।
1 Answers
Your Answer