বর্গমূল বের করার সাধারণত নিচের দুইটি নিয়ম অনুসরণ করা হয়।
১।মৌলিক গুণণীয়কের সাহায্যে বর্গমূল নির্ণয়ঃ
এ পদ্ধতিতে প্রথমে সংখ্যাটির সব মৌলিক উৎপাদক বা গুণনীয়ক নির্ণয় করা হয়। এরপর প্রত্যেক জোড়া উৎপাদক বা গুণনীয়ক থেকে একটি করে উৎপাদক নিয়ে গুণ করলে পাওয়া যায় সংখ্যাটির বর্গমূল। একটি উদাহরণ দেখা যাক। ধরে নেওয়া যাক ৭০৫৬ সংখ্যাটির বর্গমূল নির্ণয় করতে হবে। সংখ্যাটির সব মৌলিক উৎপাদক নির্ণয় করলে পাওয়া যায়।
সুতরাং ৭০৫৬ = ২×২×২×২×৩×৩×৭×৭
=(২×২)×(২×২)×(৩×৩)×(৭×৭)
অর্থাৎ সংখ্যাটির বর্গমূল = ২×২×৩×৭ = ৮৪
ভাগ প্রক্রিয়ায় বর্গমূলঃ
ভাগের সাহায্যে বর্গমূল নির্ণয় করার জন্য প্রথমে সংখ্যাটিকে মাঝে লিখে ডানপাশে একটি খাড়া দাগ দেওয়া হয়। ধরে নেওয়া যাক, সংখ্যাটি ৭০৫৬। এরপর সংখ্যাটির অঙ্কগুলোকে ডানদিক থেকে দুটি দুটি করে জোড়া তৈরি করার জন্য ওপরে একটি করে দাগ দেওয়া হয়।
এভাবে সংখ্যাটির একেবারে বাঁয়ের জোড় বা একক অঙ্ক দিয়ে গঠিত সংখ্যাটির ঠিক আগের বর্গসংখ্যাটি এর নিচে লিখে বিয়োগ করা হয় এবং ডানপাশে খাড়া দাগের পাশে বর্গসংখ্যাটির বর্গমূল লেখা হয়। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ৭০-এর আগের বর্গসংখ্যা হলো ৬৪, সুতরাং ডানে ৮ লেখা হয় এবং ৭০ থেকে ৬৪ বিয়োগ করা হয়।
এরপর প্রথম অংশটির জন্য পাওয়া বিয়োগফলের ডানে পরবর্তী অঙ্ক জোড় নামিয়ে লেখা হয়। ফলে নতুন আরেকটি সংখ্যা তৈরি হয়, যার বাঁ পাশে একটি খাড়া দাগ দিয়ে ডানের সংখ্যাটিকে দ্বিগুণ করে এই খাড়া দাগের বাঁয়ে লেখা হয়।
এরপর এমন একটি অঙ্ক পছন্দ করা হয়, যেটি নতুন খাড়া দাগের বাঁয়ের দ্বিগুণ করে পাওয়া সংখ্যাটি অর্থাৎ ১৬ -এর ডানে লিখে যে সংখ্যা পাওয়া যায়, তার সঙ্গে গুণ করলে নতুন সংখ্যা অর্থাৎ ৬৫৬-এর সমান বা ঠিক কাছাকাছি ছোট সংখ্যা তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে অঙ্কটি হলো ৪।অর্থাৎ ১৬-এর ডানে ৪ বসিয়ে ১৬৪ পাওয়া যায়, যার সঙ্গে ৪ দিয়ে গুণ করলে পাওয়া যায় ৬৫৬। এবং ৬৫৬ এর নিচে আবারও ৬৫৬ লিখে বিয়োগ করলে বিয়োগফল শূন্য হয়।
সুতরাং ৭০৫৬ সংখ্যাটির বর্গমূল হলো ৬৪।
3 Answers
Your Answer