রসায়ন বিদ্যায় যখন কোন তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের দ্রাবকে দ্রবীভূত কিংবা বিগলিত অবস্থার মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করা হয় তখন ঐ তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের রাসায়নিক বিয়োজন ঘটে নতুন রাসায়নিক ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উৎপন্ন হয়, এই পদ্ধতিকে তড়িৎবিশ্লেষণ (ইংরেজিঃ Electrolysis) বলে ।
তথ্য সংগ্রহেঃ উইকিপিডিয়া
ফ্যারাডের প্রথম সূত্র
মাইকেল ফ্যারাডে ১৮৩২ সালে তার পরীক্ষা দ্বারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, গলিত বা দ্রবীভূত কোন তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহ করলে ঐ পদার্থের বিয়োজনের ফলে তড়িৎদ্বারে জমাকৃত বা দ্রবীভূত পদার্থের ভর প্রবাহিত বিদ্যুৎ আধান বা বিদ্যুৎ শক্তির পরিমানের সঙ্গে সমানুপাতিক।
অর্থাৎ, {\displaystyle m=k\cdot q}
অথবা,
{\displaystyle m=eQ}
যেখানে, e হল তড়িৎ রাসায়নিক তুল্যাংক এবং ইহা তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের ওপর নির্ভরশীল।
ফ্যারাডের দ্বিতীয় সূত্র
গলিত বা দ্রবীভূত বিভিন্ন তড়িৎ বিশ্লেষ্যের মধ্য দিয়ে একই পরিমান তড়িৎ প্রবাহ বা একই পরিমান বিদ্যুৎ আধান সমান সময়ের জন্যে প্রবাহিত করলে তবে তড়িৎ দ্বারে জমাকৃত বা দ্রবীভূত পদার্থের ভর ওই পদার্থ সমূহের তড়িৎ রাসায়নিক তুল্যাংকের সমানুপাতিক হবে।
ফ্যারাডের সুত্রের প্রযোজ্যতা ও প্রয়োগ
ফ্যারাডের তড়িৎ বিশ্লেষণের সূত্রাবলী কেবল মাত্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের ওপর প্রযোজ্য। তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের ভৌত অবস্থা গলিত বা দ্রবীভূত হওয়া আবশ্যিক। এই সূত্রগুলির ওপর চাপ, তাপমাত্রা এবং দ্রাবক এবং দ্রবনের ঘনত্ব কোন প্রভাব ফেলে না।
ফ্যারাডের সূত্রের সীমাবদ্ধতা সম্পাদনা
ফ্যারাডের সূত্রাবলী ইলেকট্রনীয় পরিবাহীর (যেমন, ধাতু) ওপর প্রযোজ্য নয়। একসঙ্গে একাধিক তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের উপস্থিতির ফলে একাধিক বিক্রিয়া সংঘটিত হলে গণনায় ত্রূটি দেখা দিতে পারে।
1 Answers
Your Answer