রাফেজ বা আঁশযুক্ত খাবারঃ
যে সকল খাবারের মধ্যে আঁশ বিদ্যমান থাকে সেগুলো রাফেজ বা আঁশযুক্ত খাবার। রাফেজ সাধারণত উদ্ভিদ থেকেই পাওয়া যায়। আলু, শাক-সবজি, ডাল, আলূ প্রভৃতি রাফেজের অন্যতম উৎস। এছাড়া শুকনা ফল, মটরশুঁটি, জিরা, ধনিয়া ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে রাফেজ বিদ্যমান। এদের দীর্ঘ তন্তুময় অংশসমূহকে রাফেজ বলা হয়। সেলুলোজ দিয়ে তৈরি উদ্ভিদের কোষপ্রাচীর হলো রাফেজ। রাফেজ বা আঁশযুক্ত খাবার আমাদের শরীরে কোন রকমের পুষ্টি যোগায় না কিন্তু হৃদরোগ, ডায়বেটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রভৃতি রোগের প্রতিষেক হিসেবে কাজ করে। রাফেজ মূলত খাদ্যনালীর ভিতর দিয়ে পরিবাহিত হয়। এটি রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রাখে খাদ্যনালীর গায়ে কোনরূপ পিন্ড তৈরি না করেই।
গুরুত্বঃ
- রাফেজ খাবার পরিপাকে যথেষ্ট সহায়ক। এটি পানি শোষণ করে মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
- শরীরের অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
- বারংবার ক্ষুধার প্রবণতা কমনোতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- রাফেজ বা আশযুক্ত খাদ্য গ্রহণে মলাশয়ের ক্যান্সার, পাইলস, অ্যাপেনডিক্স, স্থুলতা, হৃদরোগ পিত্তথলির রোগ তুলনামুলকভাবে কমিয়ে ফেলে।
- শরীর হতে অপাচ্য খাদ্য নির্গমনে সহায়ক।
তাই প্রতিটি মানুষের গড়ে প্রতিদিন ২০-৩০ গ্রাম রাফেজ বা আশযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। সবুজ শাক-সবজি ও ফলমূল থেকে এ ধরনের আশযুক্ত খাদ্য পাওয়া যেতে পারে।