থার্মোমিটার কি এবং কিভাবে ব্যবহার করা হয়?
থার্মোমিটার বা তাপ পরিমাপক যন্ত্র দ্বারা আমরা শরীরের জ্বর পরিমাপ করে থাকি। জ্বর হয়না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা তা সবাই জানে। আর জ্বরের নিজস্ব কোনো সত্তা নেই অর্থাৎ জ্বর নিজে কোনো রোগ নয়। এটি যেকোনো রোগের উপসর্গ হিসেবে কাজ করে। হাতের বাহিরের অংশ দিয়ে শরীর স্পর্শ করে তাপমাত্রার পরিমাপ কম বেশি তারতম্যের অনুভূতি থেকেই থার্মোমিটার সৃষ্টি।
থার্মোমিটার বা তাপ পরিমাপক যন্ত্র কি:
তাপ পরিমাপক যন্ত্র বা থার্মোমিটার কি তা আমরা অনেকেই জানি না। চলুন আজকে থার্মোমিটার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
থার্মোমিটার (Thermometer) শব্দটি ইংরেজি থেকে নেয়া হয়েছে। এর উৎস স্থল গ্রীক শব্দ থার্মোস (Thermos) থেকে। এর অর্থ হলো তাপ। সাধারণত বোঝায় যা দ্বারা বিভিন্ন মূলনীতি ব্যবহার করে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জাম ছাড়াও আমাদের কাছে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের Power Tools.
তাপমাত্রা পরিমাপের সবচেয়ে দক্ষ ও সঠিক ফলাফল দেয় এমন মিটার হলো ডিজিটাল থার্মোমিটার। তবে বাজার থেকেই এই ডিজিটাল থার্মোমিটার কেনার সময় দেখে কিনা উচিত। অনেক সময় আমরা বাজারে কোনো জিনিস কিনতে গেলে সঠিক জিনিসটা আমরা চিনতে পারিনা। যার কারণে কাজের ক্ষেত্রে কোনো নির্ভুল ফলাফল পাওয়া যায়না। তাই প্রয়োজনে আর থার্মমিরের অথোরাইজ ডিস্ট্রিবিউটর আইকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।
থার্মোমিটারকে আমরা প্রথমত দুটি পৃথক ভাগে ভাগ করতে পারি।
- ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটার
- ইন্ডাস্ট্রিয়াল থার্মোমিটার
ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটার:
ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটার, এককথায় বলা যায় ব্যবহার সুবিধার দিক থেকে একটি অসাধারণ থার্মোমিটার যা একমাত্র ব্যবহারের সুবিধার কারণেই অনেক জনপ্রিয়।
সাধারণত তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থার্মোমিটারে যে ধরণের বৈশিষ্ট থাকে তাতে সঠিক ফলাফল পাওয়া সম্ভব হয়না। তাই তাপমাত্রা পরিমাপের ফলাফল নির্ভুল পেতে থার্মোমিটারটির ক্যালিব্রেশন (Calibration) করে নিতে হবে।
ক্লিনিক্যাল থের্মোমিটারের মধ্যে রয়েছে আই আর থার্মোমিটার অর্থাৎ ইনফ্রারেড থার্মোমিটার। যেটাকে নন কন্ট্রাক থের্মোমিটারও বলে। যার মাধ্যমে দূর থেকে তাপমাত্রা পরিমাপ করা যায়। এই থার্মোমিটারের জনপ্রিয়তা সবচাইতে বেশি দেখা গিয়েছিলো কভিড ১৯ এ।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল থার্মোমিটার:
এ ধরনের থার্মোমিটারের মধ্যে রয়েছে গ্যাসের অবস্থা, গ্যাসীয় পদার্থে শব্দের বেগ, তাপীয় নয়েজ বিভব অথবা রোধের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ এবং কোন চুম্বক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তেজস্ক্রিয় নিউক্লিয়াস থেকে গামা রশ্মি নিঃসরণের কৌণিক অ্যানিসোট্রপির সমীকরণ ব্যবহার করে ফলাফল প্রদান করে। প্রাথমিল থার্মোমিটার তুলনামূলক সেকেন্ডারি থার্মোমিটারের চেয়ে জটিল।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল থার্মোমিটার মূলত শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শনের কাজে প্রকৌশলীরা ব্যবহার করে থাকেন। মোটর, ইঞ্জিন বা ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমের দুর্ঘটনা এড়াতে হট পয়েন্ট গুলো খুঁজে বের করা হয়।
থার্মোমিটারের ধরণ এবং তৈরী:
আসলে আমরা অনেকেই জানিনা যে থার্মোমিটার কত ধরণের হয়ে থাকে এবং থার্মোমিটার কিভাবে তৈরী করা হয়। বিভিন্ন পদার্থের তাপমাত্রার সাথে পরিবর্তিত হয় এমন নানান ধর্ম বা সিগন্যাল ব্যবহার করে থার্মোমিটার তৈরি করা হয়।
- অ্যালকোহল থার্মোমিটার
- বেকম্যান ডিফারেন্সিয়াল থার্মোমিটার
- দ্বি-ধাতব যান্ত্রিক থার্মোমিটার
- কুলম্ব আবদ্ধকরণ থার্মোমিটার
- গ্যালিলিও থার্মোমিটার
- অবলাল থার্মোমিটার
- লিকুইড ক্রিস্টাল থার্মোমিটার
- পারদ থার্মোমিটার
- চিকিৎসা থার্মোমিটার
- রোধ থার্মোমিটার
- থার্মিস্টর
এনালগ থার্মোমিটার বলতে আমরা পারদ থার্মোমিটার বুঝে থাকি। পারদ থার্মোমিটারের মধ্যে থাকে রুপালি রঙের পারদ তরল পদার্থ। যে তরল পদার্থ ৯২ টি প্রাকৃতিক উপাদানের অন্যতম একটি যা ঘরের মধ্যে রাখতে ঘরোয়া তাপমাত্রায় এই পদার্থটি তরল থাকে এবং তাপমাত্রা বেড়ে গেলে এর আয়তন প্রসারিত হয়। আমরা বাজার থেকে এই পারদ থার্মোমিটার কিনে থাকি পরিবারের জ্বর মাপার জন্য। আর এই থার্মোমিটারের গায়ে ৯৮ থেকে ১০৮ পর্যন্ত ফারেনহাইট দাগ কাটা থাকে। থার্মমিরটি শরীরের কোথাও লাগালে তাপমাত্রার কারণে যখন পারদের প্রসারণ হয় বা ফারেনহাইটের কোনো দাগকে নির্দেশ করে তখন আমরা জ্বরের উর্ধগতি বা নিম্ন গতি নির্ধারণ করে থাকি।