প্রাগৈতিহাসিক যুগের উদ্ভিদ ও প্রাণীর ধ্বংসাবশেষ তথা মৃতদেহের চিহ্ন পাওয়া যায় ভূগর্ভ কিংবা ভূপৃষ্ঠের কঠিন স্তরে সংরক্ষিত পাললিক শিলা অথবা যৌগিক পদার্থে মিশ্রিত ও রূপান্তরিত অবস্থায়। এ রুপান্তরিত মৃতদেহ বা বস্তুই ফসিল নামে পরিচিত।
ফসিলকে বাংলায় বলে জীবাশ্ম। জীবাশ্ম = জীব+অশ্ম। জীব হচ্ছে তারা, যাদের জীবন আছে। আর অশ্ম অর্থ পাথর।লাতিন শব্দ ফসাস থেকে ফসিল শব্দটি এসেছে। ফসাস অর্থ উত্তোলন করা। জীবের যে অংশ নষ্ট না হয়ে শক্ত ও প্রস্তরীভূত হয়ে হাজার হাজার, এমনকি লাখ বা কোটি বছর পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে, সেই অংশটাই হলো ফসিল।
যেমন-মানবদেহের হাড়, মাথার খুলি, করোটি, দঁাতসহ দেহের পুরো কঙ্কালই শক্ত অংশ; অন্যদিকে দেহের মাংস, চামড়া, মসি্তষ্ক-এসব অংশ নরম ও সহজেই পচনশীল। দেহের শক্ত অংশই প্রকৃতিতে পড়ে থাকতে থাকতে একসময় ফসিলে রূপ নেয়।