ইমপ্ল্যান্টেশন: যে প্রক্রিয়ায় নিষেকের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম দিনের মধ্যে জাইগোটটি ব্লাস্টোসিস্ট অবস্থায় জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়ামে সংস্থাপিত হয় তাকে ইমপ্ল্যান্টেশন বলে।
নারীর ডিম্বানু ফেলোপিয়ান নালীর উর্দ্ধপ্রান্তে নিষিক্ত হয়ে জাইগোটে পরিণত হয়। জাইগোট কোষ বিভাজনের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিকভাবে মরুলা, ক্লিভেজ , ব্লাস্টোসিস্ট এ পরিণত হয়। ব্লাস্টোসিস্ট এর প্রতিটি কোষকে ব্লাস্টোমিয়ার বলে।
ব্লাস্টোসিস্ট জরায়ুতে এসে পৌছালে ট্রফোব্লাস্ট কোষ ও জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়ামের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়। এতে ব্লাস্টোমিয়ারগুলো পুষ্টি সংগ্রহ নিশ্চিত হয়।
প্রজননে এর গুরুত্ব: ইমপ্ল্যান্টেশনের পর ট্রফোব্লাস্ট দুটি স্তরে বিভেদিত হয়। বাইরের স্তরটি কোরিওন। যা থেকে কোরিওনিক ভিলাই নামক আঙ্গু্লের মতো প্রবধন বেরিয়ে এন্ডোমেট্রিয়ামে প্রবেশ করে। এই ভিলাইয়ের সাহায্যে ব্লাস্টোসিস্ট কোষ ও জরায়ুতে মাতৃরক্তের মধ্যে পুষ্টি, অক্সিজেন ও রেচন পর্দাথের বিনিময় ঘটে। পরিস্ফুটনের পরবর্তী ধাপগুলো অমরাতে সম্পন্ন হয়।
1 Answers
Your Answer