বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে আইসিটির প্রভাবঃ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রগুলোতে আইসিটির বহুমুখী ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কর্মক্ষেত্রগুলোতে দুই ধরনের প্রভাব লক্ষণীয়। এক, কর্মক্ষেত্রে আইসিটির ব্যাপক ব্যবহারের ফলে কর্মদক্ষতার প্রসার এবং বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং দুই, আইসিটি নতুন করে কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করছে।
বর্তমান কর্মক্ষেত্রে এবং তৎকালীন ব্যবসা-বাণিজ্যে আইসিটির বহুল ব্যবহারের ফলে কর্মচারীদের দক্ষতা, প্রতিটি কাজে জবাবদিহি এবং এর ফলে স্বচ্ছতাও অনেকাংশে বেড়ে গেছে। অপরদিকে সেবার মানও অধিকতর উন্নত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ চাকরির ক্ষেত্রেই আইসিটির যোগ্যতাকে একটি প্রাথমিক যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন কোম্পানী, সরকারি অফিস আদালতে কাজ করতে হলে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ বিভিন্ন সফটওয়্যার, ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্রাউজিং, ই-মেইল করা প্রভৃতি কাজে দক্ষতার প্রয়োজন হয়। এর পাশাপাশি কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে (ব্যাংক, এনজিও, আর্থিক প্রতিষ্ঠান) তাদের নিজ সফটওয়্যার ব্যবহারেও পারদর্শীতা অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি।
অপরদিকে আইসিটি নিজে থেকেই একটি নতুন কর্মবাজার সৃষ্টি হয়েছে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যারসহ বিভিন্ন ওয়েব সাইট নির্মাণ, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপার, প্রেজেন্টেশন তৈরি এবং মেইনটেন্যান্স এ দক্ষ কর্মীদের জন্য অন্যতম কর্মক্ষেত্র। কেবল বাংলাদেশেই নয়, আইসিটিতে দক্ষ কর্মীরা বিদেশেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কিংবা এককভাবে কাজ করছে। এ কাজের বৃহত্তম অংশ দেশে থেকেই সম্পাদন করা সম্ভব হচ্ছে। বিশেষ করে, আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক দক্ষ কর্মী বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে।