হাব (Hub):
হাব হচ্ছে নেটওয়ার্কযুক্ত কম্পিউটারগুলোকে একটির সাথে আরেকটি সংযুক্ত করার জন্য একটি সাধারণ কানেক্টিং পয়েন্ট যা রিপিটার হয়ে কাজ করে। এতে অনেক পোর্ট আছে। একটি পোর্টের সাহায্যে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়। হাবের অন্তর্ভুক্ত যেকোনো কম্পিউটার থেকে কোনো ডেটা প্রেরণ করলে তা সব পোর্টে পৌঁছে যায়। ফলে নেটওয়ার্কযুক্ত সকল কম্পিউটারই উক্ত ডেটা গ্রহণ করে। হাবের মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদানের বিপত্তির সম্ভবনা থাকে। কাজের উপর ভিত্তি করে হাবকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
প্যাসিভ হাব (Passive Hub) বা নিস্কিয় হাবঃ
প্যাসিভ হাব নেটওয়ার্কের বিভিন্ন ওয়ার্ক স্টেশনের সিগনাল একটি থেকে আরেকটিতে পাঠানোর কাজ করে। এতে সিগনাল প্রসেসিং বা রিজেনারেশনের সিস্টেম নেই। এতে রিপিটারের সুবিধা পাওয়া যাবে না। ছোট নেটওয়ার্কের জন্য এটি কার্যকরী হলেও বড় নেটওয়ার্কের জন্য অসুবিধা হতে পারে। নেটওয়ার্কের এক অংশের সিগনাল অন্য অংশে যেতে দুর্বল হয়ে যায়।
অ্যাকটিভ হাব (Active Hub) বা সক্রিয় হাবঃ
অ্যাকটিভ হাবে সিগনাল রিজেনারেট করা হয়। এতে এটি রিপিটারের কাজ করে থাকে। রিপিটারের কাজ করে থাকে বলে হাব থেকে স্টেশনের এবং হাব থেকে হাবের দূরত্ব বেশি হতে পারে। এটি সিগনালকে এমপ্লিফাই করার সাথে সাথে নয়েজ বা অপ্রয়োজনীয় সিগনালকে এমিপ্লিফাই করে। এ হাবকে মাল্টিপোর্ট রিপিটারও বলা হয়। এটি সিগনালের মান তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি করে মূল সংকেত থেকে অপ্রয়োজনীয় সংকেত বাদ দিয়ে প্রেরণ করে থাকে।
ইন্টেজিলেন্ট হাব (Intelligent Hub) বা বুদ্ধিমান হাবঃ
একটিভ হাব শুধুমাত্র সিগনাল রিজেনারেট করতে পারে কিন্তু সিগনাল ফিল্টারিং বা প্রসেসিং করতে পারে না। আর ইন্টেলিজেন্ট হাব সিগনাল প্রসেসিং বা প্রয়োজনে ফিল্টারিংও করতে পারে। ইন্টেলিজেন্ট হাব সিগনাল পরীক্ষা করে সেই সিগনালকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে কম্পিউটারের নিকট পৌঁছে দিতে পারে। এর ফলে একটি সিগনাল সব কম্পিউটারে যায় না এবং নেটওয়ার্কে অযথা ট্রাফিক করে না।