বাংলাদেশে শীতকালে উত্তর মেরু থেকে হিমালয় পেরিয়ে অতিথি পাখিরা এসে থাকে। উত্তরের দেশগুলোতে শীতের সময় তাপমাত্রা যখন মাইনাস শূন্য ডিগ্রিতে নেমে আসে, যখন গাছের পাতা ঝরে যায় শীতে, খাবারের প্রচণ্ড অভাব দেখা দেয়, শীতের প্রকোপে পাখির দেহ হতে পালক খসে পড়ে, প্রচণ্ড তুষারপাতে সাদা হয় যখন সমস্ত সবুজ বনানী, প্রকৃতির নানান বিরূপ আচরণে। তখন সে দেশের পাখিগুলো যেসব দেশে অপেক্ষাকৃত কম শীত এবং খাদ্য ও নিরাপত্তার অভাবে সেসব দেশ ছেড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে মাইগ্রেট করতে শুরু করে। নাতিশীতোষ্ণ দেশ হিসেবে এসব পাখি বাংলাদেশ ও আশে পাশের কয়েকটি দেশকে বেছে নেয়।
বাংলাদেশে অতিথি পাখিরা খাদ্য ও প্রজনন নিরাপত্তা পেয়ে থাকে। বাংলাদেশে অতিথি পাখি আসার সিজন সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর সময় অবধি। তবে ডিসেম্বর-জানুয়ারি এই দুই মাসে সবচেয়ে বেশি পাখি আসে বাংলাদেশে।
সাধারণত ডেলা ঘেনজি, সোনাজঙ্গ, খুরুলে, বনহুর, মানিকজোড়, চিনাহাঁস, পিয়াংচিনা, রাজহাঁস, বালিহাঁস, প্রোভায়, নাইরাল ল্যাঙ্গি, গ্রাসওয়ার, নাইবাল, হারিয়াল, ভোলাপাখি, চখাচখি, বুরলিহাস, বারহেড, নারুদ্দি, সিরিয়া পাতিরা, কবালি, যেনজি, গেন্ডাভার ও গাংকবুতর পাখিসমূহ শীতের প্রচণ্ড প্রকোপ থেকে বাঁচতে আমাদের দেশে অতিথি হয়ে আসে। এসব পাখিদের অনেক পাখি বাংলাদেশে পুরো শীতকাল কাটিয়ে দেয়।