অস্টিওপোরেসিস কি?
অস্টিওপোরেসিস (Osteoporosis) হল অস্থিতে ক্যালসিয়াম এর অভাব জনিত একটা রোগ। এ সমস্যায় ঘনত্ব কমে গিয়ে হাড় হালকা ও ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়। অস্থির বৃদ্ধির জন্য চাই ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার।
অস্টিওপোরেসিস ঝুকিতে যারা:
সাধারণত এই রোগ পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তি ও মেনোপজ-পরবর্তী সময়ে নারীদের বেশি হয়। এ ছাড়া যাঁদের আগে হাড় ভাঙার ইতিহাস আছে, দীর্ঘদিন স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ অথবা খিঁচুনির ওষুধ সেবন করেছেন, অতিরিক্ত ধূমপান বা মদ্যপান, কম ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া, স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন, কায়িক শ্রমের ঘাটতি রয়েছে—এমন ব্যক্তিদের এ রোগের ঝুঁকি বেশ।
অস্টিওপোরেসিস রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ:
১. অস্থি ভংগুর হয়ে যায়,পুরুত্ব কমতে থাকে।
২. পেশির শক্তি কমতে থাকে।
৩. পিঠের পিছনে ব্যথা অনুভব হয়।
৪. অস্থি তে ব্যাথা অনুভব হয়।
অস্টিওপরোসিসের নিজের কোন উপসর্গ নেই; এর প্রধান ক্ষতিকর দিক হল হাড় ভেঙ্গে যাবার ঝুঁকি বৃদ্ধি। যে পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবান মানুষের হাড় সাধারণত ভাঙবেনা সেখানে ভঙ্গুর হাড় ভেঙ্গে যেতে পারে, অতএব সেগুলি ভঙ্গুরতার জন্য অস্থিভঙ্গ হিসাবে গণ্য করা হয়। সাধারণত মেরুদন্ড, পাঁজর, নিতম্ব এবং কব্জি তে ভঙ্গুরতার অস্থিভঙ্গ ঘটে।
রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
প্রতিকার
- পঞ্চাশোর্ধ পুরুষ ও মহিলাদের দৈনিক ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা উচিত।
- ননী তোলা দুধ ও দুগ্ধযাত দ্রব্য গ্রহণ করা।
- কমলার রস, সবুজ শাকসবজি, সয়া দ্রব্য ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
প্রতিরোধ
- ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা।
- সুষম আশ যুক্ত খাবার গ্রহণ করা।
আর এভাবেই এই খনিজ লবনের অভাব জনিত রোগটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
চিকিৎসা
অস্টিওপোরোসিস সন্দেহ হলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসক রোগীর প্রকৃতি ও রোগের মাত্রা বুঝে প্রয়োজনীয় ওষুধ বা চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেবেন।