ঢাকা নাম করন হয় যেভাবে
বাংলাদেশের প্রাচিন তম শহর গুলোর মধ্যে ঢাকা একটি । ঢাকার নামকরণের ব্যপারে বেশ মতোভেদ আছে ।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুসারে
কথিত আছে যে, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণকালে সন্নিহিত জঙ্গলে হিন্দু দেবী দুর্গার একটি বিগ্রহ খুঁজে পান। দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ রাজা বল্লাল সেন ঐ এলাকায় একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু দেবীর বিগ্রহ ঢাকা বা গুপ্ত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিলো, তাই রাজা, মন্দিরের নাম রাখেন ঢাকেশ্বরী মন্দির। মন্দিরের নাম থেকেই কালক্রমে স্থানটির নাম ঢাকা হিসেবে গড়ে ওঠে।
আবার অনেক ঐতিহাসিকের মতে, মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর যখন ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন; তখন সুবাদার ইসলাম খান আনন্দের বহিঃপ্রকাশস্বরূপ শহরে ‘ঢাক’ বাজানোর নির্দেশ দেন। এই ঢাক বাজানোর কাহিনী লোকমুখে কিংবদন্তির রূপ নেয় এবং তা থেকেই শহরের নাম ঢাকা হয়ে যায়।
খানে উল্লেখ্য যে, মোঘল সাম্রাজ্যের বেশ কিছু সময় ঢাকা সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রতি সম্মান জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর নামে পরিচিত ছিলো। ঢাকা নগরীকে বর্তমানে দু’ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে – ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর। ঢাকা দক্ষিণই মূলতঃ মূল নগরী। ঢাকা উত্তর ঢাকার নবীন বর্ধিত উপশহরগুলো নিয়ে গঠিত।
তথ্যসুত্র : উইকিপিডিয়া
আবার কারো কারো মতে কোন একসময় ঢাক গাছ (বুটি ফুডোসা) এ অঞ্চলে প্রচুর ছিল। আর এই গাছের নাম অনুশারেই ঢাকার নাম করন করা হয়।
নোট : ঢাকার প্রাচীন নাম জাহাঙ্গীর নগর এবং পরে ঢাকা করা হয় । ঢাকা কে ১৯৮২ এর আগে Dacca আকারে লিখা হতো পরে এটি করা হয় Dhaka.