ভাইরাস কি?
ভাইরাস হলো নিউক্লিক অ্যাসিড ও প্রোটিন দিয়ে গঠিত এক প্রকার অতি আণুবীক্ষণিক অকোষীয় রোগ-জীবাণু বা রাসায়নিক বস্তু, যা জীবকোষের ভেতরে সক্রিয় হয়ে সংখ্যা বৃদ্ধি ও রোগ সৃষ্টি করতে পারে কিন্তু জীবকোষের বাইরে জড় পদার্থের মতো নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে।
টি ২ ব্যাকটেরিওফাজ ভাইরাস
টি ২ ব্যাকটেরিওফাজ এর ফায্ একটি গ্রিক শব্দ-যার অর্থ ভক্ষণ করা। প্রকৃতপক্ষে ফায্ হলো ঐসব ভাইরাস যারা জীবদেহে অবস্থিত রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। যেহেতু এরা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এ জন্য এদের ব্যাকটেরিওফায্ নামেও অভিহিত করা হয়।
টি২ ব্যাকটেরিওফায্ একটি সর্বাধিক পরিচিত ভাইরাস। টি২ ব্যাকটেরিওফায-এর দৈহিক গঠন অনেকটা ব্যাঙাচির মতো। এর দেহকে প্রধানত দুটি অংশে ভাগ করা যায়। যথা- মাথা এবং লেজ।
মাথা:
টি২ ব্যাকটেরিওফায-এর মাথাটি স্ফীত এবং ষড়ভুজাকার। দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৩-১০০nm এবং প্রস্থ ৬৫মিমি। এই ষড়ভুজাকৃতির মাথার অংশটি প্রোটিন নির্মিত এবং অভ্যন্তর দ্বিসূত্রকবিশিষ্ট DNA প্যাঁচানো অবস্থায় বিদ্যমান। এতে প্রায় ১৫০টি জিন রয়েছে। মাথার অধিকাংশ স্থান ফাঁপা বলে মনে হয়।
লেজ:
টি২ ফায্ এর মাথার নিচে একটি লেজ থাকে যা ফাঁপা নলের মতো। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১০০মিলি মাইক্রন এবং ব্যাস প্রায় ২৫মিলি মাইক্রন। লেজ ও মাথার সংযোগস্থলে একটি পাতলা চাকতির মত গঠন(কলার) বিদ্যমান। কলারের ঠিক নিচে ক্ষুদ্র অঞ্চলটির নাম গ্রীবা। অনেকের মতে, লেজের দৃঢ় আবরণের ভিতর একটি সংকোচনশীল প্রোটিন থাকে যাতে লাইসোজোম বিদ্যমান।
লেজের নিচের প্রান্তে প্রশস্ত বেস প্লেট এবং যার চার পাশে ৬টি সরু, লম্বা স্পর্শক তন্তু ও কাঁটার ন্যায় স্পাইক থাকে। এর সাহায্যে এরা পোষক ব্যাকটেরিয়াকে আক্রমণ করে। প্রতিটি স্পর্শক তন্তুর দৈর্ঘ্য ১৩০ মিলি মাইক্রন এবং প্রস্থ মাত্র ২ মিলি মাইক্রন ।