তারা কিঃ
তারা ইংরেজি Star । আমরা সব তারার সঙ্গে বেশ পরিচিত। রাতের আকাশে আলোর ক্ষুদ্র, জ্বলজ্বলে পিনপ্রিক্স হিসাবে সবচেয়ে পরিষ্কার রাত পাওয়া যায় তারার মাধ্যেমে । তারা বেশিরভাগ হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম থাকে যা তার নিজের মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা একত্রিত। নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রতিক্রিয়াগুলি মূলত মাধ্যাকর্ষণের বিরুদ্ধে তারকাটিকে সমর্থন করে এবং ফোটন এবং তাপ উত্পাদন করে, সেইসাথে অল্প পরিমাণে ভারী উপাদান তৈরি করে। সূর্য পৃথিবীর নিকটতম তারা।প্লাজমা দশাস্থিত অতি উজ্জ্বল এবং সুবৃহৎ গোলাকার বস্তুপিণ্ড। উচ্চ তাপে তারা নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রমাগত নিজের জ্বালানী উৎপন্ন করে। নিউক্লীয় সংযোজন থেকে উদ্ভূত তাপ ও চাপ মহাকর্ষীয় সঙ্কোচনকে ঠেকিয়ে রাখে। জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে একটি তারার মৃত্যু হয়ে শ্বেত বামন অথবা নিউট্রন তারা আবার কখনো কৃষ্ণ বিবরের সৃষ্টি হয়। পৃথিবী হতে সবচেয়ে কাছের তারা হচ্ছে সূর্য।
তারা জ্বলজ্বল করার কারণ হচ্ছে, এর কেন্দ্রে নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা তারার পুরো অভ্যন্তরভাগ পার হয়ে বিকিরিত হয়। হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম অপেক্ষা ভারী প্রায় সকল মৌলই তারার কেন্দ্রে প্রথমবারের মত উৎপন্ন হয়েছিল। ইতিহাসের মাধ্যমে যার মধ্যে রয়েছে ব্যাস, ঘূর্ণন, চাপ এবং তাপমাত্রা। অনেকগুলো তারার তাপমাত্রাকে তাদের দীপন ক্ষমতার বিপরীতে একটি লেখচিত্রে স্থাপন করলে যে চিত্র পাওয়া যায় তাকে বলা হয়। এই চিত্রের মাধ্যমেই তারার বিবর্তনের বর্তমান দশা এবং এর বয়স নির্ণয় করা যায়।
তথ্য সংগ্রহে উইকিপিডিয়া