নিরাপদ পানির অপর নাম জীবন । পৃথিবীর ৭৫% ই পানি। তবে সব পানিই আমরা খেতে পারিনা কারন এতে অনেজ জীবানু ও খনিজ পদার্থ থাকে যা আমাদের শরিরের জন্য ক্ষতিকর ।
তাই পানি পান করার আগে নিশ্চিত হতে হবে সেটা মানব দেহের জন্য নিরাপদ কিনা । তা না হলে পেটের ব্যথা, জন্ডিজ সহ আরো অনেক জটিল রোগের সম্ভাবনা রয়েছে ।
পানি নিরাপদ করার উপায় গুলো নিচে আলোচনা করা হলো ।
পানি নিরাপদ করার উপায়সমূহ
ছাঁকনঃ
ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে পানি পরিষ্কার করার প্রক্রিয়াকে ছাঁকন বলা হয়। পাতলা কাপড় বা ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে পানি পরিষ্কার করা যায়। কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় পানি পরিষ্কার হলেও তা জীবাণুমুক্ত হয় না। এ কারণে নিরাপদ পানির জন্য পানিকে ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হয়।
থিতানোঃ
একটি কলস বা পাত্রে নদীর পানি জমা করি। কিছুক্ষণ পর পাত্রের তলায় তলানি জমা হবে। উপরের অংশের পানি পরিষ্কার হবে। পানিতে থাকা ময়লা যেমন- কাদা, বালি প্রভৃতি অপসারণ করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় থিতানো।
ফুটানোঃ
পানিকে জীবাণুমুক্ত করার অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে ফুটানো। পানি জীবাণুমুক্ত করার জন্য অন্তত ২০ মিনিট ধরে পানিকে ফুটাতে হয়।
রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধকরণঃ
অনেক ক্ষেত্রে বন্যা কিংবা জলোচ্ছ্বাসের পানি ফুটানো সম্ভব হয় না। তাই ব্লিচিং পাউডার, ফিটকিরি অথবা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পরিমাণমতো মিশিয়ে আমরা পানি নিরাপদ করতে পারি। তবে মত মনে রাখতে হবে যে, আর্সেনিকযুক্ত পানি এ সকল প্রক্রিয়ায় নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত করা যায় না।