পৃথিবী
পৃথিবী হল মানুষ সহ কোটি কোটি প্রজাতির আবাসস্থল। পৃথিবীই একমাত্র মহাজাগতিক স্থান যেখানে প্রাণের অস্তিত্বের কথা বিদ্যমান । ৪৫৪ কোটি বছর আগে পৃথিবী গঠিত হয়েছিল। এক বিলিয়ন বছরের মধ্যেই পৃথিবীর বুকে প্রাণের আবির্ভাব ঘটে। বিজ্ঞানীরা বলেন, এমন অনেক সময় ছিল, যখন আমাদের এই পৃথিবী একবারেই ছিল না । কিভাবে পৃথিবী সৃষ্টি হল । এই প্রশ্ন এখন মানুষের মনে ঘুর পাক খায় ।
পৃথিবী সৃষ্টির মতভেদ বিভিন্ন ধরনের লক্ষ করা যায় ।
বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্য থেকে উৎক্ষিপ্ত মহাকাশের ঘূর্ণ্যমান মস্ত বড় আগুনের গোলা ক্রমে ক্রমে জমে গিয়ে এই পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল । পৃথিবীকে বর্তমান অবস্থায় আসতে কোটি কোটি বছর অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয়েছে ।
ফরাসী বিজ্ঞানী ঃ এক ঘূর্ণমান নিহারিকার একটি অংশ সূর্য এক জ্বলন্ত গ্যাসের গোলা প্রচন্ড বেগে ঘুরপাক খাওয়ার চোটে তার ধারের অংশে পড়ে গিয়ে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে ।
পৃথিবীর উপরিতল একাধিক শক্ত স্তরে বিভক্ত। এগুলিকে ভূত্বকীয় পাত বলা হয়। কোটি কোটি বছর ধরে এগুলি পৃথিবীর উপরিতলে এসে জমা হয়েছে। পৃথিবীতলের প্রায় ৭১% লবণাক্ত জলের মহাসাগর দ্বারা আবৃত। অবশিষ্টাংশ গঠিত হয়েছে মহাদেশ ও অসংখ্য দ্বীপ নিয়ে। স্থলভাগেও রয়েছে অজস্র হ্রদ ও জলের অন্যান্য উৎস। এগুলি নিয়েই গঠিত হয়েছে বিশ্বের জলভাগ। জীবনধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় তরল জল এই গ্রহের ভূত্বকের কোথাও সমভার অবস্থায় পাওয়া যায় না। পৃথিবীর মেরুদ্বয় সর্বদা কঠিন বরফ (আন্টর্কটিক বরফের চাদর) বা সামুদ্রিক বরফে (আর্কটিক বরফের টুপি) আবৃত থাকে। পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ সর্বদা ক্রিয়াশীল। এই অংশ গঠিত হয়েছে একটি আপেক্ষিকভাবে শক্ত ম্যান্টেলের মোটা স্তর, একটি তরল বহিঃকেন্দ্র (যা একটি চৌম্বকক্ষেত্র গঠন করে) এবং একটি শক্ত লৌহ অন্তঃকেন্দ্র নিয়ে গঠিত।