অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন (Asynchronous Transmission)
যে পদ্ধতির মাধ্যমে প্রেরক কম্পিউটার হতে ডেটা গ্রাহক কম্পিউটারে ক্যারেক্টার বাই ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হয় তাকে অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলা হয়। এক্ষেত্রে প্রেরক কম্পিউটার ডেটা ট্রান্সমিট করার ঠিক আগের মুহুর্তে ডেটা ক্যাবল মিডিয়াতে একটি একক স্টার্ট (Start) বিট ছেড়ে দেয়। প্রাপক কম্পিউটার যে মুহুর্তে বিটের উপস্থিতি লক্ষ্য করে, তখন সে তার অভ্যন্তরীণ ঘড়িটি চালু করে দেয়। প্রেরক কম্পিউটার থেকে কোন স্টপ বিট না পাওয়া গেল এ প্রক্রিয়া চলতে থাকে। অ্যাসিনক্রোনাস পদ্ধতিতে ৮ বিটের ক্যারেক্টার ডেটাকে ট্রান্সমিশনের পূর্বে তার সামনে একটি স্টার্ট বিট এবং শেষে একটি বা দুটি স্টপ বিট সংযুক্ত করে প্রতিটি ক্যারেক্টার ১০ বা ১১ বিটের ডেটায় রুপান্তরিত হয়ে ট্রান্সমিট হয়ে যায়। অল্প করে ডেটা পরিবহণ করার দরকার পড়ে। যেমন, ইন্টারনেটে এ পদ্ধতি বেশি কার্যকরী। এতে প্রেরকের কোন প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের দরকার হয় না। পরপর দুটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিটের মাঝের বিরতি সময় সমান হয় না।
এর সুবিধাসমূহঃ
- এতে প্রেরক কম্পিউটার যে কোন সময় ডেটা পাঠিয়ে দিতে পারে এবং প্রাপক কম্পিউটার গ্রহণ করতে পারে।
- ইন্সটলেশন খরচ খুবই কম এবং খুব বেশি জটিল সার্কিট ছাড়া বাস্তবায়ন করা যায়।
- কাছাকাছি কম করে ডেটা ট্রান্সমিশনের দরকার হয় এমন পরিবেশে যেমন- ইন্টারনেটে এ পদ্ধতি বেশি উপযোগী।
- প্রেরকের কোন প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসের দরকার হয় না।