গাজরের পুষ্টিগুণ ও খাওয়ার উপকারিতাঃ
গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। তাই গাজরকে বলা হয় শক্তিশালী খাদ্য উপাদান। গাজর খাওয়ার ফলে ত্বক সুন্দর হয়। এটি সেবনে ক্যান্সার থেকেও সুরক্ষা পাওয়া যায়। গাজর খাওয়ার থেকে যেসব উপকার পাওয়া যায় নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
- গাজর খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়। এতে রয়ে বেটা ক্যারোটিন যা লিভারে গিয়ে ভিটামিন এ তে পরিবর্তিত হয় যা রেটিনায় গিয়ে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া রাতের বেলা অন্ধকারে ভালভাবে দেখার জন্য বেগুনি পিগমেন্ট এর সংখ্যা বাড়িয়ে দৃষ্টিশক্তি ভাল করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে গাজর।
- গাজর সেবনে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। এতে রয়েছে ফ্যাল ক্যারিনল এবং ফ্যাল ক্যারিনডিওল যা এন্টি ক্যান্সার উপাদানগুলোকে রিফিল করে। তাই গাজর খেলে ব্রেস্ট ও কোলন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
চিত্রঃ গাজর
- গাজর শুধুমাত্র শরীরের জন্য ভাল এমনটি নয় এটি আমাদের জন্য এন্টি এজিও উপদান হিসেবেও কাজ করে। এতে যে বেটা ক্যারোটিন আছে তা আমাদের শরীরের ভিতরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এর কাজ করে। আমাদের শরীরের ক্ষয়প্রাপ্ত সেলগুলোকেও সতেজ রাখে।
- ত্বক সুন্দর রাখার জন্য গাজর খুবই উপকারী। এতে বিদ্যমান ভিটামিন এ ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করে থাকে।
- গাজর ভাল এন্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে। এটি ইনফেকশন হওয়া থেকে রক্ষা করে। শরীরের কোন অংশে কেটে বা পুড়ে গেলে কুচি করা গাজর সেখানে লাগিয়ে দিলে ইনফেকশন হওয়ার আশংকা অনেকাংশে কমে যায়।
- হৃদপিন্ডের নানাবিধ অসুখে গাজর অনেক উপকারী। গাজরের ক্যারটিনয়েড হৃদপিন্ডের নানাবিধ ঔষধের কাজ করে।
- এতে উপস্থিত ভিটামিন এ লিভারে গিয়ে শরীর হতে নানা ধরনের টক্সিন জাতীয় খারাপ উপাদান পরিষ্কার এবং লিভার থেকে অতিরিক্ত চর্বি সরিয়ে ফেলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। গাজরের ফাইবার কোলন পরিষ্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের হাতে থেকে রক্ষা করে।
- গাজর সুন্দর, সুস্থ্য সবল দাঁত এবং মুখ গহবর পরিষ্কার রাখতে সহায়ক। এটি মুখের প্ল্যাক ও খাবারের উপাদান মুখ হতে দূর করে পেস্ট ও ব্রাশের মতোই। এছাড়াও এর মিনারেলগুলো দাঁত মজবুত রাখতে অনেকাংশে সাহায্য করে থাকে।
- নিয়মিত গাজর সেবনে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কম থাকে। একারণে নিয়মিত গাজর সেবন করা উচিত।