ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা কর।

প্রশ্ন উত্তরCategory: স্বাস্থ্য সেবাডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা কর।
Abdullah Al Faroque Staff asked 1 year ago


1 Answers
Abdullah Al Faroque Staff answered 1 year ago

ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হলো

একটি ডিম হাজারো ভিটামিনে ভরা। এরা ভিটামিন ১২ আপনি যা খাবার সেবন করছেন সেই খাবারকে এনার্জি বা শক্তিতে রুপান্তরিত করতে সাহায্য করে।


ডিমে আছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। ডিমের কেরোটিনয়েড, ল্যুটেন ও জিয়েক্সেনথন বয়সকালের চোখের অসুখ ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। এই একই উপাদান চোখের ছানি কমাতেও সহায়ক।

ভাজা ডিম

ভাজা ডিম

কেবলমাত্র ডিমেই রয়েছে ভিটামিন ডি, যা পেশীর ব্যথা উপশমে অত্যন্ত কার্যকারী।

ডিমে আছে ভিটামিন ই। এটি কোষ এবং ত্বকের উৎপন্ন ফ্রি র‌্যাডিকাল নষ্ট করে দেয় এবং স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

ডিমের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে এটি ওজন কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সকালের নাস্তায় একটি ডিম খাওয়া মানে আপনার ক্ষুধা কম হবে, খাওয়া হবে কম। গবেষণায় দেখা যায়, শরীর থেকে দিনে প্রায় ৪০০ ক্যালরি কমাতে পারে সকালের একটি ডিম খাওয়ায়। সমীক্ষায় দেখা যায়, ৬৫% বডি ওয়েট, ১৬% বডি ফ্যাট এবং ৩৪% কোমরে জমে থাকা মেদের পরিমাণ কমাতে পারে ডিম।

ডিমে আরো যা আছে

ডিমে আছে আয়রন, জিঙ্ক, ফসফরাস, মেনস্ট্রয়েশনের জন্য অনেক সময় অ্যানিমিয়া দেখা দেয়। শরীর তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ডিমের মধ্যে থাকা আয়রন এই ঘাটতি মেটাতে সহায়ক, জিঙ্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং ফসফরাস হাড় ও দাঁত মজবুত করে।

প্রত্যেক নারীর শরীরে রোজ কমপক্ষে ৫০ গ্রাম প্রোটিনের দরকার। একটি ডিমে থাকে ৭০-৮৫ ক্যালরি বা ৬.৫ গ্রাম প্রোটিন। সুতরাং নিয়মিত শরীর সবল রাখতে ডিম খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায় দেখিয়েছে সপ্তাহে ৬টি ডিম খেলে প্রায় ৪৪% ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। ডিম হৃৎপিন্ডে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না ফলে স্ট্রোক বা হার্ট এ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।

শরীর সুস্থ রাখার একটি জরুরি উপাদান হল কোলাইন। কোলাইনের ঘাটতি থাকলে অনেক সময় কার্ডিওভাসকুলার লিভারের অসুখ বা নিউরোলজিক্যাল ডিজ-অর্ডার দেখা দিতে পারে। একটি ডিমে প্রায় ৩০০ মাইক্রোগ্রাম কোলাইন থাকে, যা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম, স্নায়ু, যকৃৎ ও মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ডিম কোলেস্টেরল বাড়ায় না। দিনে দুটো ডিম শরীরে লিপিড প্রোফাইলে কোন প্রভাব ফেলে না বরং ডিম রক্তে লোহিত কণিকা তৈরি করে।

প্রোটিন শরীর গঠন করে। আর প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে অ্যামিনো এসিড। একুশ ধরনের অ্যামিনো এসিড এই কাজে প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আমাদের অতি প্রয়োজনীয় নয়টি অ্যামিনো এসিড তৈরি করতে পারে না। তার জন্য আমাদের প্রোটন সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ডিম খাওয়া প্রয়োজন যা খুব তাড়াতাড়ি শরীরে প্রোটিন উৎপাদন করতে পারে ।

ডিমের মধ্যে থাকা সালফার হাতের নখ ও মাথার চুলের মান উন্নত করে।

Your Answer

15 + 1 =

error: Content is protected !!